TMC: অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট পেপার নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা, জেলা সভাপতির সঙ্গে বচসা দলীয় নেতাদের
জেলা তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতাদের মধ্যেই তীব্র বাদানুবাদ হয়। জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে দলের অন্যান্য নেতা কর্মীদের তুমুল বাকবিতন্ডা চলে।
রাজগঞ্জ: কোচবিহারের পর এবার জলপাইগুড়ি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসভা শেষ হতে না হতেই গণ্ডগোল শুরু হয় ময়নাগুড়ি, পাহাড়পুর, রাজগঞ্জ থেকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতেও । ময়নাগুড়ি, পাহাড়পুর, রাজগঞ্জে যেমন তৃণমূলের নীচু স্তরের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যালট পেপার (Ballot Paper) নিয়ে কাড়াকাড়ি দেখা যায়, তেমনই ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে একেবারে জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডা দেখা যায় দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের। শনিবার জেলাজুড়ে এই ঘটনায় তৃণমূল যে ফের অস্বস্তিতে পড়ল, তা বলা বাহুল্য। এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছে BJP।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রথমে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে জনসভা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সভামঞ্চ ছেড়ে বেরোতেই সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ সহ তৃণমূলের নীচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ব্যালট পেপার নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
ময়নাগুড়ির সভার পর পাহাড়পুরে নির্দিষ্ট সময়ের বেশ খানিক দেরিতে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁকে কাছ থেকে দেখার জন্য পাহাড়পুর যুবক সঙ্ঘ ময়দানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল এবং তাঁরা করছিলেন। কিন্তু, অভিষেক সভাস্থল বেরোতেই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ব্যালট পেপার নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। তারপর একই ঘটনা ঘটে রাজগঞ্জে। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের ৩ ঘণ্টা পর অভিষেক পৌঁছন। তবু তাঁকে দেখতে সভামাঠে যথেষ্ট ভিড় ছিল। তারপর অভিষেক বেরোতেই চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সেখানে। অবশেষে জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
প্রতিটি জায়গাতেই এই বিশৃঙ্খলার ঘটনায় ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ব্যলট পেপার সংগ্রহের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে। যদিও জেলা তৃণমূলের দাবি, ব্যালট পেপারের জায়গায় সাদা কাগজ পেয়েছেন অনেকে। তার জন্যই গোলমাল শুরু হয়। তবে কোন্দল এখানেই শেষ নয়, ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে দলীয় অধিবেশনেও চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। জেলা তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতাদের মধ্যেই তীব্র বাদানুবাদ হয়। জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে দলের অন্যান্য নেতা কর্মীদের তুমুল বাকবিতন্ডা চলে।
তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে এই বিশৃঙ্খলার ঘটনার দলের অন্দরের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। যদিও তৃণমূলের তরফে কেউ এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে গোটা ঘটনায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। তাঁর কথায়, স্বভাব কখনও যাবে না। ভোট লুঠ করা এদের অভ্যাস। পঞ্চায়েত ভোট, পুরভোটে এভাবেই ভোট লুঠ করা হয়েছে। এখানেও সেটাই হয়েছে।