Nava Nalanda: ৪০ টা সেলাই নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নব নালন্দার পড়ুয়া, প্রিন্সিপাল বলছেন, ‘জানালা ভাঙতেই পারে’
Nava Nalanda School: সোমবার সকালে কাচ ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে নব নালন্দা স্কুলে। এক পড়ুয়া গুরুতর আহত। আরও দুই পড়ুয়া আহত হয়েছে।
কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম নামী স্কুল নব নালন্দা। সেই স্কুলের প্রার্থনা চলাকালীন আচমকাই ভেঙে পড়ে জানালার আস্ত কাচ। মাথায় লেগে পড়ুয়া রক্তাক্ত হলেও সময়ে মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, কোন ভরসায় স্কুলে পাঠাব সন্তানকে? কেন রক্ষণাবেক্ষণ হয় না? অন্যদিকে, অ্যাম্বুল্যান্স চালককে শোকজ করেই দায় সারতে চাইছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, পড়ুয়াদের ভুলেই ভেঙে পড়েছে ওই কাচ।
সোমবার সকালে স্কুলে যখন প্রার্থনা চলছিল, সেই সময় চারতলা থেকে ভেঙে পড়ে জানালার কাচ। সেই কাচ লেগেই আহত হয় স্কুলের নবম শ্রেণির তিন পড়ুয়া। এক পড়ুয়া ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ৪০টি সেলাই পড়েছে। অভিযোগ, স্কুলে অ্যাম্বুল্যান্স থাকা কথা থাকলেও এদিন দেখা মেলেনি। সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখালেও দেখা মেলেনি প্রিন্সিপালের।
বিক্ষোভ চরম আকার নিলে স্কুলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিভাবকরা শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরে বলতে থাকেন, ‘বাচ্চাদের দোষ দেবেন না। বাচ্চাদের গায়ে এত জোর নেই।’ পরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্কুলের প্রিন্সিপাল। তিনি বলেন, “জানালা খোলার সময় যদি কাচ ভেঙে পড়ে, তার মানে কি রক্ষণাবেক্ষণ নেই? জানালা কি ভাঙতে পারে না? ভেঙে গিয়েছে হয়ত। অবশ্যই এটা দুর্ঘটনা। এটা হওয়া উচিত নয়।”
কেন অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া গেল না, এই প্রশ্নের উত্তরে প্রিন্সিপাল বলেন, “আজই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক আসতে দেরী করেছে। আর এই ঘটনা। অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে শোকজ করা হচ্ছে।” স্কুলের মেডিক্যাল ইউনিটও আছে বলে জানান তিনি।
স্কুলের পরিস্থিতি যখন কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তখন স্কুলে পৌঁছন বিধায়ক দেবাশিস কুমার। তিনি স্পষ্ট বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত ছিল। এই ঘটনা ঘটা উচিত নয়।”