Maldah: ‘গরিব মানুষগুলোর তো নলেজ থাকে না…’, মেডিক্যালে স্যালাইন নিতে অস্বীকার রোগীদের

Maldah: জেলা শাসক জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সব নিষিদ্ধ স্যালাইন সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপরেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় বিতর্কিত স্যালাইন প্রস্তুতকারক স্বংস্থার স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করার।

Maldah: 'গরিব মানুষগুলোর তো নলেজ থাকে না...', মেডিক্যালে স্যালাইন নিতে অস্বীকার রোগীদের
স্যালাইন নিতে ভয় পাচ্ছেন রোগীরাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2025 | 11:44 AM

মালদহ: স্যালাইন বিভ্রাট! মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু রীতিমতো টনক নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের। আরও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন জনকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আর তাতেই আতঙ্ক সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। অনেকে স্যালাইনই নিতে চাইছেন না। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে সব আর এল (লিঙ্গার ল‍্যাকটেটের ) স্যালাইন তুলে নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শোরগোল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে। নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়া হচ্ছিল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেই ছবি সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়।

জেলা শাসক জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সব নিষিদ্ধ স্যালাইন সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপরেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় বিতর্কিত স্যালাইন প্রস্তুতকারক স্বংস্থার স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করার। সেই নির্দেশ মতো সেই সব স্যালাইন সরিয়ে ফেলে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মেডিক্যাল অফিসার নিজেও স্বীকার করেন সংবাদ মাধ্যমে খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা আসে। এরপরে যাঁদের স্যালাইন চলছিল তাতে খুলে নেওয়া হয়ই, পাশাপাশি মজুত নিষিদ্ধ স্যালাইনও সরিয়ে ফেলা হয়। তবে এরপরে ক্ষোভ ছড়ায় রোগীদের মধ্যে, ছড়ায় আতঙ্ক। স্যালাইন নিতেই ভয় করছেন অনেকে। হাসপাতাল ছেড়েও চলে গিয়েছেন বহু রোগী।

ভর্তি হতেও ভয় করছেন অনেকে। প্রশ্ন তুলছেন, টাকা খরচ করে যাঁদের বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার সামর্থ্য নেই, তাঁরা এখন কোথায় যাবেন। সরকারি হাসপাতালেও তো বিষাক্ত স্যালাইন।

এক রোগী গুলজার হোসেন বলেন, “গ্রামের মানুষের তো ওতো নলেজ নেই। আর ওতো ভেবেও দেখে না। ডাক্তার দিল, নার্স এসে লাগিয়ে দিল। চিকিৎসা হল। এখন এসব শোনার পর তো ভয় লাগছে। হাসপাতালে এসেছি তো সুস্থ হতে, আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তো সমস্যা।”

আগের রোগী নুরুল ইসলাম বলেন, “স্যালাইন যখন লাগাচ্ছে, তখনই তো ভয় লাগছে। ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলাম। ডাক্তারবাবু বললেন, ভাল স্যালাইন দিচ্ছি। আগের স্যালাইন বন্ধ করে দিয়েছে।

চিকিৎসক রবিউল আলম বলেন, “আর এল বন্ধ করা হয়েছে সব। নির্দেশিকা এসেছে জেলা হেলথ প্রশাসন থেকে। রোগীর ভিত্তিতে বিভিন্ন ফ্লুইড দরকার পড়ে, তা বুঝে দেওয়া হচ্ছে। নিতান্থই আর এল প্রয়োজন হলে, লোকালি ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।”