TMC workers joins CPM: ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে ভাঙন, ঘাস-ফুল ছেড়ে লালদুর্গে প্রাক্তন প্রধান সহ প্রায় ৫০০ জন
তৃণমূলের প্রায় ৫০০ কর্মী-সমর্থক সিপিএমে যোগদান করলেন।
মথুরাপুর: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে শাসকশিবিরে ভাঙন। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে শাসকদল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করলেন একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী। যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি। সিপিএমের দাবি, প্রায় ৫০০ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক লাল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদার পাড়া হাই মাদ্রাসার মাঠে সিপিএমের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভাতেই তৃণমূলের প্রায় ৫০০ কর্মী-সমর্থক সিপিএমে যোগদান করলেন। যার মধ্যে রয়েছেন, শঙ্করপুরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান রহমতুল্লা গাজি ওরফে বাবলু গাজি, তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ওমর ফারুক হালদার সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা নূর মহম্মদ মীর, ডা. হাফিজুর রহমানও। এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য রইচউদ্দিন মোল্লা, সাম্য গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্চল কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রায় সহ অন্যান্যরা।
এদিন ঘাস-ফুল শিবির ছেড়ে লাল শিবিরে যোগদান করে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন শঙ্করপুরের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান, অঞ্চল সভাপতিরা। তাঁরা বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতি ও স্বজন পোষনের বিরোধিতা করেই দলবদল করলেন।”
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দলবদল যে শাসকদলকে ভাবাচ্ছে, তা বলা বাহুল্য। দলীয় কর্মীদের দলত্যাগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতাও। তবে তাঁরা সকলে দলের বিশ্বস্ত ছিলেন না বলেও বিধায়কের দাবি। তিনি বলেন, “ওদের মধ্যে একজনকে দল বহিষ্কার করেছিল।” তবে ৫০০ জনের দল ছাড়ার কথা স্বীকার করতে নারাজ বিধায়ক অলোক জলদাতাও। তাঁর কথায়, “কতজন দল ছেড়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”