Kaliyaganj: ভরা রাস্তায় হাত ধরে এক টান, তারপরই যুবক-যুবতীর অবস্থায় শিহরিত স্থানীয় বাসিন্দারা
North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার ঘটনা। সেখানে একটি যুবকের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন কলেজ ছাত্রী।
কালিয়াগঞ্জ: কলেজ পড়তেন। বাড়ি থেকে যাতায়াতের পথেই তাঁকে পছন্দ এক যুবকের। কিন্তু মেয়েটি রাজি হয়নি। অভিযোগ, তাই যাতায়াতের পথেই লাগাতার বিরক্ত করতেন তাঁকে। সেই মাত্রা এতটাই পৌঁছায় যে শেষমেশ মর্মান্তিক পদক্ষেপ করে মেয়েটি।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। সেখানে একটি যুবকের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন কলেজ ছাত্রী। ফলে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি যুবতী। বাড়িতে ফিরেই ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মঘাতী হন তিনি। জানা গিয়েছে নির্যাতিতা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
গত সোমবার সকালে কলেজ যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। সেই সময় টোটো উঠতে যান তিনি। সেই সময় অভিযুক্ত যুবক মেয়েটির হাত ধরে টানেন। অভিযোগ, তারপর তাঁকে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন। এমনকী মেয়েটির হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে দেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, এরপর মেয়েটির জামা-কাপড় ছিড়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরে এলাকাবাসীর নজরে আসতে বিষয়টিতে বাধা দেয় তারা। খবর দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের।
খবর পেয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। তবে, কোনও ভাবেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না ওই ছাত্রী। এরপরই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মানসিক অবসাদ থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। পরে কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
এ দিকে, ওই যুবক মাঝেমধ্যেই তাঁকে প্রেম করার জন্য জোর ও উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল বলে মৃতার পরিবারের অভিযোগ। ঘটনায় কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার ছাত্রী। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।মেয়েটির মামা বলেন, ‘ছেলেটা প্রতিদিন ওকে উত্ত্যক্ত করত। বারাবর বলত প্রেম কর, তারপর মেয়েটা রাজি হত না। এরপর কলেজ যাওয়ার পরই হাত ধরে টেনে ওর সঙ্গে এমন কাজ করে। মেনে নিতে না পেরে শেষে আত্মহত্যা করে।’