North Dinajpur: ওয়ার্ডেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ধুন্ধুমার, রায়গঞ্জ মেডিক্যালে কর্মবিরতির ডাক

Raigunj Medical College: জুনিয়র ডাক্তার শুভম হিরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে এক শিশুতে আনা হয়। দেড় বছর বয়স। পেটের সমস্যার কারণে এমার্জেন্সিতে ভর্তি হয়। সেখানে যিনি মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন, তিনি সমস্ত ওষুধ লিখে ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে পাঠান। এদিকে শিশুর মা ও সঙ্গে থাকা ৭-৮ জন তাতে রাজি হননি। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঝামেলা শুরু করেন।

North Dinajpur: ওয়ার্ডেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ধুন্ধুমার, রায়গঞ্জ মেডিক্যালে কর্মবিরতির ডাক
সাংবাদিক সম্মেলনে জুনিয়র ডাক্তাররা।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2024 | 10:53 PM

উত্তর দিনাজপুর: চিকিৎসায় অচলাবস্থার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রোগী ভর্তি ওয়ার্ডের ভিতরই তুমুল অশান্তি হয়। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনায় শুক্রবার দিনভর চলল অচলাবস্থা। বন্ধ রইল আউটডোর পরিষেবা। শুধু এমার্জেন্সি খোলা। তবে সেখানেও যথাযথ পরিষেবা পাওয়া নিয়ে উঠল প্রশ্ন। তবে কর্মবিরতি থেকে এখনই সরছেন না বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে চিকিৎসা পরিষেবার অচলাবস্থা কাটল না রায়গঞ্জ মেডিক্যালে।

এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেন, হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে তাঁরা কোনও নিরাপত্তাই পান না। তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। দিতে হবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। দাবি না মিটলে শুক্রবারের মতোই আউটডোর বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

জুনিয়ার ডাক্তার তালশেখর রহমান মল্লিক বলেন, “কালকের ঝামেলার পর রোগীর আত্মীয়রা হুমকি দিয়ে গিয়েছেন বাইরে বেরোলে দেখে নেব, মেরে দেব। কুচি কুচি করে রেখে দেব। এমন কথায় তো আমরা ভীত, সন্ত্রস্ত। আমরা সকলে বাইরে থেকে এসেছি। স্থানীয় লোকেরা চড়াও হলে আমরা কী করব? ১৬-১৮ ঘণ্টা ডিউটি করি টানা। কোনও নিরাপত্তাই নেই আমাদের। এই যে গতকাল হামলা হল, তার কত পরে যে ওয়ার্ড সিকিউরিটি এসেছেন তার ঠিক নেই।”

আরেক জুনিয়র ডাক্তার শুভম হিরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে এক শিশুতে আনা হয়। দেড় বছর বয়স। পেটের সমস্যার কারণে এমার্জেন্সিতে ভর্তি হয়। সেখানে যিনি মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন, তিনি সমস্ত ওষুধ লিখে ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে পাঠান। এদিকে শিশুর মা ও সঙ্গে থাকা ৭-৮ জন তাতে রাজি হননি। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঝামেলা শুরু করেন। এরপরই ইনচার্জের উপর চড়াও হন বলে দাবি ওই জুনিয়র ডাক্তারের।

প্রিন্সিপাল কৌশিক সমাজদার এ বিষয়ে বলেন, “আমাদের জুনিয়র ডাক্তার বা ছাত্ররা গতকাল শারীরিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এটা তো ফ্যাক্ট। তাই ওঁরা আন্দোলন করছেন। ওনাদের দাবি আমরা অবশ্যই দেখব। নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা আমরা বলেছি।”