Krishna Kalyani: আচমকাই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ কৃষ্ণ কল্যাণীর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

Krishna Kalyani: শুক্রবার রাতেই রায়গঞ্জ পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ডে নিজস্ব প্রতিনিধিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।

Krishna Kalyani: আচমকাই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ কৃষ্ণ কল্যাণীর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল
কৃষ্ণ কল্যাণী, বিধায়ক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2023 | 6:03 PM

রায়গঞ্জ: নিজের মনোনিত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে বিতর্কে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। যার জেরে প্রকাশ্যে রায়গঞ্জে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল। শনিবার রায়গঞ্জ পৌরসভার ২৭ টি ওয়ার্ডেই নিজের মনোনীত প্রতিনিধিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন বিধায়ক। গোটা ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে এমনকী জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিধায়ক স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই তালিকা তৈরি করেছেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা। রাজনৈতিক মহলে শুরু বিতর্ক।

শুক্রবার রাতেই রায়গঞ্জ পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ডে নিজস্ব প্রতিনিধিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। ইতিমধ্যেই পৌরসভার মেয়াদ শেষ হতেই বিদায়ী কাউন্সিলরদেরই ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে রায়গঞ্জ পৌরসভা মেয়াদ শেষ হয়। রাজ্য সরকার তিন সদস্যের পৌরপ্রশাসক নিয়োগ করেন। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও পৌরসভার এই প্রশাসক কমিটিকে প্রথম থেকেই মেনে নিতে পারেননি রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এমনটাই গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।

মাস দুয়েক আগে রায়গঞ্জ শহরকে যানজট মুক্ত করতে গ্রামীণ এলাকার টোটোকে শহরে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে বিধায়কের বিরোধ চরমে পৌঁছেছিল। আপাতত সেই বিরোধ কিছুটা থামতে না থামতেই বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জ পৌরসভার ২৭ ওয়ার্ডেই নিজের প্রতিনিধি দেওয়ায় নতুন করে বিরোধ শুরু হয়েছে। পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবার পরই প্রশাসক ছাড়া ও প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে কো অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়। বিদায়ী কাউন্সিলরদের কেই কো অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়েছিল। এদিকে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানীর এই তালিকা জনসমক্ষে আসার পরই জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

রায়গঞ্জের ২৬ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ সাহা বিধায়ক গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব শুরু করেছেন বলে দাবি করেন। তাঁর আরও দাবি, কাউকে কিছু না জানিয়ে আচমকা বিধায়ক এই তালিকা প্রকাশ করেছেন। শহরের মানুষদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। দীর্ঘ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি বলেই তাঁর দাবি। আর এর জন্য বিধায়কের এই তালিকা প্রকাশকেই দায়ী করে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে পৌরসভার আরেক ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটর তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি চৈতালী সাহার অভিযোগ, বিধায়ক দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই তালিকা প্রকাশ করেছেন। রাজ্য নেতৃত্বের তরফেও এমন কোনও তালিকার অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলেই তাঁর দাবি। তবে দলের রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হবে এবং রাজ্যের নির্দেশের মান্যতা দেওয়া হবে বলেই তাঁর দাবি।

অন্যদিকে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়েছেন, পৌর পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতেই তিনি এই তালিকা প্রকাশ করেছেন। রায়গঞ্জবাসী তাকে ভোট দিয়ে বিধানসভায় পাঠিয়েছেন। তাঁরা যাতে কোন পরিষেবা বঞ্চিত না হন সেটা দেখার জন্যই তিনি এই কাজ করেছেন।

তবে রায়গঞ্জ শহরের এই তৃণমূলের অন্দরের তালিকা বিভ্রাট নিয়ে আসরে নেমেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার জানিয়েছেন,নিজেরা নিজেদেরকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাই দল কো অর্ডিনেটর করে দিলেও বিধায়ক আবার নিজের লোকদের ওয়ার্ডে বসাছে। সাধারণ মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে নির্বাচনে তৃণমুল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।