Minor Harassment: নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ, তৃণমূল নেতাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত
Minor Harassment: গত ২০০৪ সালে ৮ই সেপ্টেম্বর হেমতাবাদ থানা এলাকার একিটি স্কুলের সামনে থেকে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ওই ব্যক্তি। এরপর কিশোরীকে কালিয়াগঞ্জ হয়ে কলকাতায় নিয়ে যায়। সেখানে চার দিন একটি ঘরে আটকে রেখে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে।
হেমতাবাদ: নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাবস্ত হওয়া এক তৃণমূল নেতাকে বুধবার সাজা শোনালেন রায়গঞ্জ জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট আদালতের বিচারক বসন্ত শর্মা। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি হেমতাবাদে। সে হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল কমিটির সদস্য।
২০০৪ সালে ৮ই সেপ্টেম্বর হেমতাবাদ থানা এলাকার একিটি স্কুলের সামনে থেকে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ওই ব্যক্তি। এরপর কিশোরীকে কালিয়াগঞ্জ হয়ে কলকাতায় নিয়ে যায়। সেখানে চার দিন একটি ঘরে আটকে রেখে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। দুই পক্ষের মোট বারো জন সাক্ষ্যপ্রমাণ দেওয়ার পর বুধবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন তার সাজা ঘোষণা হয়।
বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এদিন দোষি সাবস্ত হওয়া অভিযুক্তকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা,অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন ওই আদালতের সরকারি আইনজীবী অমিত দে সরকার বলেন,”দুই পক্ষের মোট ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচার প্রক্রিয়া শেষে এই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।”
এদিন এবিষয়ে রায়গঞ্জ বিচারালয় চত্বরে হেমতাবাদ এলাকার প্রচুর তৃণমুল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তি বর্তমানে হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের রণহাট্টা সংসদের সদস্য। পাশাপাশি হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য। গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কেউ মুখ খুলতে চাননি।