Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Krishna Kalyani: ‘ও তো ভোট লুঠ করে এসেছে’, দলের নেতার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক কৃষ্ণ কল্যাণী

Krishna Kalyani: তৃণমূলে যোগ দিলেও বর্তমানে তিনি বিধানসভায় বিজেপির আসনেই বসেন। তা নিয়েই ক্ষোভ রয়েছে দলের একাংশের।

Krishna Kalyani: 'ও তো ভোট লুঠ করে এসেছে', দলের নেতার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক কৃষ্ণ কল্যাণী
বিধায়কের বিরোধিতায় তরজা চরমে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2022 | 10:11 PM

রায়গঞ্জ: বিধায়ককে বয়কট ঘোষণা করে তালা খুলল রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির। প্রায় ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে তালা খোলা হল রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির। তৃণমূলে যোগ দিলেও বিধানসভায় এখনও বিজেপির বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর হুইপ চলবে না, আগামীতে পঞ্চায়েত সমিতির কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচীতে কৃষ্ণ থাকবে না বলেই ঘোষণা পঞ্চায়েত সমিতির। তবে কৃষ্ণের পাল্টা দাবি, সবটাই দলের সিদ্ধান্ত। এই চাপান-উতোরেই এখন তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে।

বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগদান করেছেন রায়গঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি মানস ঘোষ। আর অন্যদিকে, কলকাতায় বসে মানস ঘোষকে ভোট লুঠকারী বলে আক্রমণ করলেন বিধায়ক কৃষ্ণ। এই তরজায় ফের চরম অস্বস্তিতে উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেস।

মে মাসের ২৭ তারিখ থেকে রায়গঞ্জের বিধায়কের বিরোধিতা করে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি বন্ধ করে তালা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় যেমন পঞ্চায়েত সমিতিতে কাজে আসা সাধারণ মানুষজন হয়রান হচ্ছিলেন, তেমনই শাসক দলের অস্বস্তিও বাড়ছিল। এই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেই আলোচনার পরেই পঞ্চায়েত সমিতির তালা খুলে দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালা জানান, বিধায়ক বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দলগত ভাবে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় হয়। আপাতত জনগণের সুবিধার জন্য পঞ্চায়েত সমিতি খুলে দেওয়া হল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি মানস ঘোষ বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরে খোলা হল পঞ্চায়েত সমিতির তালা। আমরা দীর্ঘ চার বছর ধরে ভালভাবেই পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনা করেছি। কিন্তু রায়গঞ্জের বিধায়ক আমাদের পঞ্চায়েত সমিতিকে ঘুঘুর বাসা বলেছিলেন। আমাদের বিধায়ক নিজেই সেই ঘুঘু। তিনি বিজেপি থেকে জিতে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বিধানসভায় উনি এখনও বিজেপির সিটে বসেন। বাইরে তৃণমূল করেন।

মানস বাবুর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘মানস ঘোষ নিজেই নির্দল হয়ে ভোট লুঠ করে জিতে এসেছেন। তিনি গ্রামে ঢুকতে পারেন না। তাঁর বিষয়ে আমি কোনও কথা বলব না। বিষয়টি দল দেখছে, দলের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব।’ অপরদিকে তৃণমূলের অন্দররে এই কাজিয়ায় সাধারণ মানুষের পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার।