Covid-19: করোনার থাবা রায়গঞ্জের পুরপ্রধানের শরীরে, আপাতত থাকবেন হোম আইসোলেশনে
Covid-19: বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৪ জন।
উত্তর দিনাজপুর: এবার করোনার থাবা রায়গঞ্জের পুরপ্রধানের শরীরে। করোনা আক্রান্ত হলেন রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ফিভার ক্লিনিকে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করানো হয় সন্দীপবাবুর। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ভিআরডিএল ল্যাবরেটরিতে আরটিপিসিআর টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
গত ৪ নভেম্বর রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লি এলাকার পৈতৃক বাড়িতে পারিবারিক কালীপুজোয় শামিল হয়েছিলেন সন্দীপ বিশ্বাস। পরদিন থেকেই তাঁর জ্বর, মাথাব্যাথা ও পেটের গোলমাল শুরু হয়। এরপরই করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আপাতত রায়গঞ্জ শহরের দক্ষিণ বীরনগর এলাকায় নিজের বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সন্দীপ বিশ্বাস। চিকিৎসকের পরামর্শে এদিন সন্দীপবাবু লালারস পরীক্ষা করান। মেডিক্যাল সূত্রে খবর, আপাতত চিকিৎসকের পরামর্শে উনি হোম আইসোলেশনেই থাকবেন।
উৎসবের মরসুমে আবারও করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। শারদোৎসব, দীপাবলি, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো-হু হু করে বেড়েছে বাংলায় করোনার সংক্রমণ। এর মধ্যে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। ফলে মুখে যতই স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হোক না কেন, বাস্তবে তা কতটা মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। উত্তর দিনাজপুর জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছে পাঁচজন। দেশে ১০০ কোটির টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে গত মাসেই। সামনে রয়েছে আরও বড় লক্ষ্য- ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকা দিতে হবে।
এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণেই কেন্দ্রের তরফে শুরু করা হয়েছে ‘হর ঘর দস্তক’ নামে এক নতুন কর্মসূচির। এই কর্মসূচির অধীনে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা ও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই নতুন কর্মসূচিকে আরও সফল করতে বৃহস্পতিবারই সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
দেশ জুড়ে দ্রুত কোভিড-১৯ টিকাকরণ নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিনামূল্যে কোভিড টিকা সরবরাহ করছে। কারণ কেন্দ্র কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে মনে করছে। সর্বজনীন টিকাকরণের নতুন পর্যায় ২১শে জুন থেকে শুরু হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরও বেশি পরিমাণে টিকা সরবরাহ করার জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা যে টিকা উৎপাদন করছে প্রতি মাসে তার ৭৫ শতাংশ কেন্দ্র সংগ্রহ করছে। এই টিকা আগের মতোই রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র এ পর্যন্ত ১,২০,০৮,৫৮,১৭০টি টিকার ডোজ় বিনামূল্যে ও সরাসরি সংগ্রহ করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এখনও ১৬,৭৪,০৩,৮৭১টি টিকার ডোজ আছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: Zika Virus: এতদিন বিপদ ছিল কানপুরে, এবার রাজধানী লখনউয়েও জ়িকার দাপট