Panchayet Samiti: এক বিধায়ক বিজেপি ফেরত, অন্যজন দলেরই, টেন্ডার নিয়ে তুমুল ঝামেলা তৃণমূলের অন্দরে

TMC: শুক্রবার টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। একেবারে শেষবেলায় গিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। এরপরই সভাপতি-সহ বাকি সদস্যদের বিধায়ক অপমান করেছেন, এই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত সমিতিতে তালা ঝুলিয়ে দেন সদস্যরা।

Panchayet Samiti: এক বিধায়ক বিজেপি ফেরত, অন্যজন দলেরই, টেন্ডার নিয়ে তুমুল ঝামেলা তৃণমূলের অন্দরে
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2022 | 5:29 PM

উত্তর দিনাজপুর: টেন্ডার নিয়ে রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে পঞ্চায়েত সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে দেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। অভিযোগ ওঠে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিতা টুডু-সহ বাকি সদস্যদের হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধদের পাশে দাঁড়ান হেমতাবাদের বিধায়ক তথা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বর্মন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণ কল্যাণী জানান, দুর্নীতিমুক্ত টেন্ডার ব্যবস্থাই তাঁর লক্ষ্য। শুক্রবার পঞ্চায়েত সমিতিতে তালা ঝোলানো হয়। শনিবারও সে ছবির বদল আসেনি। অভিযোগ, কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ অন্যদের ডেকে পাঠান তাঁর বাড়িতে। সেখানেই হুমকি দেন। টেন্ডার তাঁর লোকজনকেই দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ঝামেলা লাগে।

শুক্রবার টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। একেবারে শেষবেলায় গিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। এরপরই সভাপতি-সহ বাকি সদস্যদের বিধায়ক অপমান করেছেন, এই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত সমিতিতে তালা ঝুলিয়ে দেন সদস্যরা। সকলেই তাঁরা তৃণমূলের। বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে দেখা যায় হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মনকে। সভাপতি ছিতা টুডু বলেন, “আমরা এই তালা বন্ধই রাখব। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। যতক্ষণ না সমস্যা মিটছে ততক্ষণ পঞ্চায়েত সমিতিতে আসব না। আমরা যা পরিষেবা দেওয়ার বাড়ি থেকেই দেব।” বিজেপির টিকিটে জিতে রায়গঞ্জের বিধায়ক হন কৃষ্ণ কল্যাণী। দলবদল করে এখন তিনি তৃণমূলে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, কর্তৃত্ব বজায় রাখতে দলের নেতা কর্মীদের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন তিনি। যদিও কৃষ্ণ কল্যাণীর দাবি, “বিগত কয়েক বছর ধরে টেন্ডার হত না। কিছু অসামাজিক লোক কিছু নেতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এইসব করতেন। ২০-২৫ শতাংশ তোলাবাজি করে এই টেন্ডার পাইয়ে দিতেন। তার প্রতিবাদ করেছি মাত্র।”

অন্যদিকে হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন বলেন, “উনি পঞ্চায়েত সমিতিতে হুইপ জারি করার চেষ্টা করছেন। আমরা তো কারও দাস নই। কারও দাসত্ব করতে আসিনি। আমরা জনপ্রতিনিধি। মানুষের ভোটে জিতে এসেছি। মানুষের কাজ করব।” শাসকদলের বিধায়ক বনাম বিধায়ক তরজা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “টাকার বদলে টেন্ডার নিয়ে নিজের লোককে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। টাকা ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে, মানুষ কোনও কাজ পাচ্ছেন না। এক একটা পুকুর দু’বার পর্যন্ত কাটানো হয়েছে। কোথাও জল নেই। সাধারণ মানুষ বলতে গেলে মার খেতে হত। এখন নিজেরা ভাগ পাচ্ছে না তাই নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি।”