কেউ কথা রাখেনি: ৭৪ বছরেও দাবি মেটেনি, তাই ভোট বয়কট!

রাজনীতির স্বার্থে তাঁরা ভোট দিয়েছেন বারবার। কিন্তু প্রতিবারই ঠকেছেন। তাই এবার এলাকার 'স্বার্থরক্ষায়' ভোট বয়কটের ডাক দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের খলসি গ্রামের বাসিন্দারা।

কেউ কথা রাখেনি: ৭৪ বছরেও দাবি মেটেনি, তাই ভোট বয়কট!
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Mar 23, 2021 | 5:32 PM

রায়গঞ্জ: রাজনীতির স্বার্থে তাঁরা ভোট দিয়েছেন বারবার। কিন্তু প্রতিবারই ঠকেছেন। তাই এবার এলাকার ‘স্বার্থরক্ষায়’ ভোট বয়কটের ডাক দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের খলসি গ্রামের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল খলসিতে একটা পাকা সেতুর। সেই দাবি পূরন না হওয়ায় এবার “নো ব্রিজ নো ভোট” পোস্টার দিয়ে ভোট বয়কট করার পাশাপাশি আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্বাধীনতার ৭৪ বছর পেরিয়ে গেলেও হেমতাবাদ বিধানসভার রায়গঞ্জ ব্লকের শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খলসি ব্রিজের দাবি এখনও পূরণ হয়নি। দীর্ঘদিনের সেই দাবি পূরন না হওয়ায় এবার কেউ বুথমুখী হবেন না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয়রা।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায়। শুধুমাত্র নেতা-নেত্রীদের কাছে আশ্বাসই সার। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের দৈনন্দিন যাতায়াত করতে হয়। রায়গঞ্জ থেকে খলসি, বামুহা হয়ে বিন্দলে যাওয়ার অল্পসময়ের রাস্তায় ব্রিজ না থাকায় কুলিকের দুপারের মানুষদেরই চরম অসুবিধা পোহাতে হয়। আর বর্ষার সময় তা আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। কোনও জরুরি দরকারে, রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদের বহুবার অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং আগামী দিনেও হবে বলে অভিযোগ তাঁদের। কচিকাঁচাদের স্কুলে পাঠিয়ে বাড়িতে চিন্তায় থাকতে হয় বাবা-মাকে। এই ভাঙাচোরা সেতু পেরিয়ে দৈনন্দিন যাতায়াত যেন ক্রমে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। তাই এবার গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা কেউ ভোট দেবেন না।

গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যতদিন না পাকা সেতু হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন। এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর কর্ণজোড়া থেকে মাত্র কিছু দূরেই কুলিক নদীর একদিকে ধুরইল গ্রাম অন্যদিকে শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। সেক্ষেত্রে রায়গঞ্জে যাতায়াতের একমাত্র এই পথে বাধা শুধু ধুরইল গ্রামের খলসি ঘাটের কুলিকের পাকা সেতু না থাকা। তাই আর বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত নয়, পাকা ব্রিজ না হলে ভোট বয়কটো। এমনই দাবিতে সরব হয়েছেন দু’পারের হাজারো মানুষ।

যদিও প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে বলে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের বন কর্মাধ্যক্ষ পুর্ণেন্দু দে। কিন্তু কবে গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ও দুর্দশা মিটবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।