‘স্বাস্থ্য সাথী’ কার্ড নিলে ভোট দিতে হবে তৃণমূলেই, নয়তো ছেলেরা দেখে নেবে! হুমকি ভাঙড়ের নেতার
একহাতে স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) কার্ড থাকবে, আর অন্য হাতে ঘাসফুল ছেড়ে অন্য দলের পতাকা। এটা বরদাস্ত করা হবে না। তাহলে ‘আমাদের ছেলেরা দেখে নেবে’। সোমবার রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ অনুষ্ঠানে এসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিলেন এক তৃণমূল (TMC) নেতা
ভাঙড়: একহাতে স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) কার্ড থাকবে, আর অন্য হাতে ঘাসফুল ছেড়ে অন্য দলের পতাকা। এটা বরদাস্ত করা হবে না। তাহলে ‘আমাদের ছেলেরা দেখে নেবে’। সোমবার রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ অনুষ্ঠানে এসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিলেন এক তৃণমূল (TMC) নেতা। মাইক হাতে এহেন হুঁশিয়ারি দেওয়া এই নেতার নাম মোদাসসের হোসেন। তিনি ভাঙড় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোগালী ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে এসে সরকারের পরিষেবা নিয়ে এক নেতা কীভাবে এহেন রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন বিরোধীরা। দুয়ারে দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠানে এসে এদিন তৃণমূলের এই নেতা বলেন, ‘প্রত্যেকের মাথায় রেখে দিতে হবে, আমার হাতে থাকবে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড, আমার হাতে থাকবে পঞ্চায়েতের জব কার্ড, আর ঝাণ্ডাটা অন্য লোকের থাকবে। এটা কিন্তু তৃণমূলের ছেলেরা কোনও দিন বরদাস্ত করবে না। কার্ডে যখন ৫ লক্ষ টাকা থাকবে তখন ভেবো না অন্য লোকের ছাতার তলায় চলে যাব। তাহলে কার্ডের টাকাটাও কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে।‘
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যখন পইপই করে বারবার বলেছেন, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যেন দল-মত নির্বিশেষে সকলে পায়। তখন সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই খোদ তৃণমূল নেতার এই ধরনের মন্তব্য শুনে মনে হচ্ছে না তাঁরা নেত্রীর কথায় কর্ণপাত করছেন।
তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের পাল্টা দিয়ে তোপ বিজেপিও। ভাঙড় তিন নম্বর মণ্ডলের সভাপতি অবনী মণ্ডল বলেন, এরকম অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষ যদি সরকারি পঞ্চায়েতে বসে পড়ে, তখন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখা দেয়। এরা কাটমানি ছাড়া কিছু বোঝে না। তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক এতটাই নিচে নেমে গেছে যে একুশ সালে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার মতো অধিকার নেই কোনও নেতার। তাই এখন এরা সরকারকে সামনে এনে কাজটা করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে এই হুমকি দিয়েও বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন মোদাসসের হোসেন নিজে। সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের মন্তব্য আদৌ শোভনীয় কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ যদি টিভির পর্দায় এসে বলতে পারে তৃণমূলের ছেলেরা বাড়াবাড়ি করলে কবরে পাঠাবো। আমিও বলতে পারি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিন দিদিকে ভোট দিন।‘
আরও পড়ুন: প্রয়াত মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি, বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী