দেশের অর্ধেক ইঞ্জিনের চাহিদা মেটাবে চিত্তরঞ্জন, তবুও শঙ্কায় শ্রমিকরা
গতবছর পর্যন্ত ৪৩১ টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করে চিত্তরঞ্জন। করোনা আবহে এবার এই ইঞ্জিন তৈরির সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৯০ । অতিমারীতে উৎপাদন নিয়ে চিন্তায় ছিল সিএলডব্লিউ কর্তৃপক্ষ।
আসানসোল : দেশের অর্ধেক রেল ইঞ্জিনের চাহিদা মেটাবে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন (CLW) কারখানা। সারা দেশের জন্য আগামী ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৫০০ রেল ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে চিত্তরঞ্জন কারখানা। জানুয়ারি শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয় চিত্তরঞ্জন কর্তৃপক্ষ।
রেকর্ড পরিমাণ ইঞ্জিন প্রস্তুত করে ইতিমধ্যেই গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে চিত্তরঞ্জন কারখানা (CLW)। আগামী অর্থবর্ষে, পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী মিলিয়ে যে মোট ৫০০ টি রেল ইঞ্জিন তৈরি হবে, তার জন্য ৪ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হবে ক্ষুদ্র শিল্পের সংস্থাগুলি থেকে।
আরও পড়ুন : ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে যাচ্ছে আইসিএসই স্কুল
একদিকে যখন একাধিক রেল ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যে বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ আনছে চিত্তরঞ্জন অন্যদিকে কমছে নিজস্ব উৎপাদন। আর এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কারখানার শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাঁদের অভিযোগ, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার (CLW) বড় বড় বিভাগে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ ইঞ্জিনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য সেগুলিকে উপযুক্ত করে না তুলে বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ কিনে এই কারখানাকে শুধুমাত্র একটি অ্যাসেম্বল ইউনিটে পরিণত করা হচ্ছে। এক সময় ১৪ হাজারের বেশি কর্মী ছিল। এখন সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারে। ফলে রেল ইঞ্জিনের বরাত বাড়লেও আশঙ্কায় রয়েছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন : আগাম ঘোষণা ছাড়াই ইন্টারভিউ বাতিল, বিক্ষোভ সামাল দিতে সাগর দত্ত মেডিক্যালে নামল র্যাফ
এ প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সতীশ কুমার কশ্যপ জানিয়েছেন, উৎপাদন বাড়াতেই বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আনা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে উন্নতমানের দেশীয় যন্ত্রপাতিও। গতবছর পর্যন্ত ৪৩১ টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করে চিত্তরঞ্জন। করোনা আবহে এবার এই ইঞ্জিন তৈরির সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৯০ । অতিমারীতে উৎপাদন নিয়ে চিন্তায় ছিল সিএলডব্লিউ কর্তৃপক্ষ (CLW)। কিন্তু, চলতি অর্থবর্ষেই ৩৯০ টি রেল ইঞ্জিনই তৈরি করা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করছে কারখানার কর্তৃপক্ষ।