দমদম সরগরম, রেলের জমিতে উদ্বাস্তু কলোনি উচ্ছেদ ঘিরে উত্তেজনা
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রেলের জমি ও কোয়ার্টারে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন এই পরিবারগুলি। মেট্রোর কাজে এখন সেই জমি ও কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে হবে।
দমদম : মেট্রোর কাজে বাধা। শনিবার সকালে দমদম (Dumdum) ক্যান্টনমেন্টের ২ নং রেলওয়ে গেটের কাছে ঝুপড়ি উচ্ছেদ ঘিরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয়দের বাগবিতণ্ডায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।
কলোনিবাসীদের অভিযোগ, তাঁরা এই এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। হিন্দু-মুসলিম-ওড়িয়া নির্বিশেষে প্রায় ৪০০ পরিবার থাকেন এই কলোনিতে। শুক্রবার, রেলের তরফে মৌখিক ঘোষণার মাধ্যমে তাঁদের জানানো হয়, বস্তি খালি করতে হবে। কিন্তু কোনও আইনি নোটিস আসেনি। শনিবার সকালে আরপিএফ এবং জিআরপি বাহিনী বস্তি উচ্ছেদে এলে বাধা দেন বাসিন্দারা। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসার জেরে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রেলের জমি ও কোয়ার্টারে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন এই পরিবারগুলি। মেট্রোর কাজে এখন সেই জমি ও কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে হবে। কারণ, ওই জায়গায় মেট্রো রেলের পিলার তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, অবৈধ কলোনি হওয়ার জন্য এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। নানা অবৈধ ও অপরাধমূলক কাজের আতুঁড়ঘরও বলে দাবি। সে জন্যই অবৈধ নির্মাণ মুক্ত জমি চায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় আসরে নামে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দক্ষিণ দমদম (Dumdum) পুরসভার পুরপ্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ধনঞ্জয় মজুমদার জানান, সময় হাতে নিয়ে যথাযথ আইনি নোটিস ছাড়া কলোনি উচ্ছেদ করা যাবে না। শুধু তাই নয়, কলোনির সকল পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা জমি ছাড়বেন না বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়ার আসল কারণ জানালেন অভিষেক
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যে কোনও উদ্বাস্তু কলোনি উচ্ছেদ করা যাবে না। শুধু তাই নয়, কলোনির বাসিন্দাদের জন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই ২ লাখ ৭৯ হাজার পাট্টা ইস্যু হয়েছে। স্বীকৃতি পেয়েছে ২১৩টি কলোনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তাকেই কার্যত স্মরণ করিয়ে শনিবার ক্যান্টনমেন্ট (Dumdum) কলোনিতে রেল কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন বিক্ষোভের জেরে রেল পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হলেও রেল কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্টই জানানো হয়, সাময়িকভাবে এনকোচমেন্ট বন্ধ হলেও অতি শীঘ্রই আইনি নোটিসের মাধ্যমে শুরু হবে উদ্বাস্তু কলোনি উচ্ছেদের কাজ।