মহামারিকালে বন্ধ হোক বাকি দফার ভোট, কমিশনকে চিঠি অধীরের

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে অধীর (Adhir Chowdhury) লিখেছেন, মানুষের জীবন নাকি ভোট, কাকে অগ্রাধিকার দেবেন ঠিক করুন।

মহামারিকালে বন্ধ হোক বাকি দফার ভোট, কমিশনকে চিঠি অধীরের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 20, 2021 | 12:14 AM

পশ্চিমবঙ্গ: দলীয় কর্মীদের মধ্যে করোনার (Corona) উপসর্গ দেখা গিয়েছে। এই কারণে আগামী ২ দিনের জন্য সমস্ত প্রচার কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তবে সোমবার বিকালে এক ফেসবুক পোস্টে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানালেন, অতিমারি পরিস্থিতিতে আর কোনও জনসভা করবেন না। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-কে লেখা চিঠিতে তাঁর আবেদন, মহামারি পরিস্থিতিতে বন্ধ হোক বাকি দফার ভোট।

রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে দৈনিক করোনা (Corona) সংক্রমণ। করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। একুশের বিধানসভা ভোটের প্রার্থীও প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে প্রচার কর্মসূচিতে পরিবর্তন করছে বামেরা। সোমবার থেকে তৃণমূলও তাদের প্রচার কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করেছে। আর এদিনই বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানালেন, একুশের বাকি দফার নির্বাচনে আর কোনও প্রচার কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেবেন না। ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কমিশনকে লেখা তাঁর চিঠির ছবি পোস্ট করে বহরমপুরের সাংসদ লিখেছেন, আগে মানুষের জীবন, তারপর বাকি সব। তিনি যোগ করেন, তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে তা জানেন না। তবে সোমবার থেকে আর একটিও জনসভা করবেন না। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে অধীর লিখেছেন, মানুষের জীবন নাকি ভোট, কাকে অগ্রাধিকার দেবেন ঠিক করুন।

প্রসঙ্গত, রবিবারই বেলডাঙা বিধানসভায় সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী সেখ সফিউজ্জামানের সমর্থনে সভা করেছেন অধীর। এর মধ্যে জানা যায়, গত কয়েকদিন যাদের সঙ্গে প্রচারে গিয়েছিলেন অধীর, সেই সঙ্গীদের অনেকেই জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে দু দিন নিজের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন অধীর চৌধুরী। এবার তিনি জানালেন আর কোনও প্রচার সভায় তিনি যোগ দেবেন না।

আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারের এসপি বদল, প্রচার থেকে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা অভিষেকের 

এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১,৬১৯ জনের। সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যেও। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন লকডাউনের পথে হাঁটছে না রাজ্য। থাকছে না কার্ফুও। তবে স্কুলে ছুটি দেওয়া হয়েছে। অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।