Dumdum Death: গলগল করে বেরোচ্ছে রক্ত, ভিজে গিয়েছে রাস্তা, দমদমে যুবকের বীভৎস অবস্থায় শিউরে উঠছেন এলাকাবাসী
Dumdum: দমদমের পিকে গুহ রোডের বহুতলের এক আবাসনের নিচ থেকে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল দমদম থানার পুলিশ।
দমদম: বিগত একবছর ধরে ভাড়া ছিলেন যুবক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর রুমমেট। হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটে যাবে কে ভেবেছিল? ভোর-রাতে স্থানীয়রা উঠতেই চোখ কপালে সকলের। নিচে পড়ে রয়েছেন যুবক। গলগল বেরচ্ছে রক্ত। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
দমদমের পিকে গুহ রোডের বহুতলের এক আবাসনের নিচ থেকে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল দমদম থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ভোর রাতে কল্যাণ কুইলা নামের বছর একত্রিশের এক যুবককের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। দেহ পড়ে থাকতে দেখে আবাসিকরা চটজলদি খবর দেন পুলিশে। দমদম থানার পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বহুতল আবাসনের পাঁচ তলায় গত এক বছর ধরে সিকিউরিটি এজেন্সির কর্মী হিসাবে কাজ করতেন কল্যাণ কুইলা। তিনি এক রুমমেট এর সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। এরপর বুধবার সকালবেলা রক্তাক্ত দেহ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ইতিমধ্যেই রুমমেট যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, পাঁচতলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কল্যাণের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা ঠাকুরচক এলাকায়। গোটা ঘটনায় খবর দেওয়া হয়েছে পরিবারকে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতলে পাঠান হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরে বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের ভাই বলেন, ‘২০০৬ থেকে দাদা কলকাতায় আছে। সিকিউরিটির কাজ করতেন। ওর সঙ্গে আর একদাদা আছে সেই খবর দিল আমাদের। ভাবতে পারছি না এমন ঘটনা ঘটে যাবে।’ মৃতের চেনা পরিচিত এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভোর বেলা ফোন আসে। চা দোকানের এক দাদা ফোন করে মর্মান্তিক খবরটি দেন। বলল যে কল্যাণ আত্মহত্যা করেছেন। ও আমার এখানে থেকেই কাজ করত। পরে কাজ পরিবর্তন করে। কিন্তু সম্পর্ক ভাল ছিল।’