AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nobel 2023: ‘ইলেকট্রন জগতের দরজা’ খুলে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

2023 Nobel Prize In Physics: রয়্যাল সুইডিশ আকাদেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, আলো নিয়ে এই তিনজনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা মানবজাতিকে পরমাণু এবং অণুর ভিতরে ইলেকট্রনের জগতকে অন্বেষণ করার জন্য নতুন সরঞ্জাম দিয়েছে। পদার্থবিদ্যার নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান, ইভা ওলসেন বলেছেন, "আমাদের সামনে এখন ইলেকট্রন জগতের দরজা খুলে গিয়েছে। অ্যাটোসেকেন্ড পদার্থবিদ্যা আমাদেরকে ইলেকট্রন নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়াগুলি বোঝার সুযোগ করে দিয়েছে। পরবর্তী ধাপ হল, তাদের কাজে লাগানো।"

Nobel 2023: 'ইলেকট্রন জগতের দরজা' খুলে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
পিয়ের অ্যাগোস্তিনি, ফেরেঙ্ক ক্রওস এবং অ্যান ল'হুইলিয়ার Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2023 | 6:00 PM
Share

স্টকহোম: আগুনে আবিষ্কার উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে দিয়েছিল মানব সভ্যতাকে। উত্তাপের পাশাপাশি, আগুন রাতের অন্ধকারে মানুষকে দিয়েছিল আলো। সেই আলো নিয়েই আগুন নতুন গবেষণার জন্য মঙ্গলবার, পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল যৌথভাবে তিনজন বিজ্ঞানীকে। দুই ফরাসী বিজ্ঞানী পিয়ের অ্যাগোস্তিনি এবং অ্যান ল’হুইলিয়ার এবং হাঙ্গারিয়ান-অস্টিয়ান বিজ্ঞানী ফেরেঙ্ক ক্রওস। রয়্যাল সুইডিশ আকাদেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, আলো নিয়ে এই তিনজনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা মানবজাতিকে পরমাণু এবং অণুর ভিতরে ইলেকট্রনের জগতকে অন্বেষণ করার জন্য নতুন সরঞ্জাম দিয়েছে।

নোবেল কমিটি বলেছে, “তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পদার্থের ইলেক্ট্রন গতিবিদ্যার অধ্যয়নের জন্য আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন তৈরি করেছে। পিয়ের অ্যাগোস্তিনি, ফেরেঙ্ক ক্রওস এবং অ্যান ল’হুইলিয়ার আলোর অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত স্পন্দন তৈরি করার এক উপায় দেখিয়েছেন, যা যেখানে ইলেক্ট্রনগুলি চলে বা শক্তি পরিবর্তন করে, সেখানে দ্রুতগতির প্রক্রিয়াগুলি পরিমাপ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।”

১৯৮৭ সালে অ্যান ল’হুইলিয়ার দেখেছিলেন যে কোনও নোবল গ্যাসের মধ্য দিয়ে ইনফ্রারেড লেজার যাওয়ার সময় আলোর বিভিন্ন ওভারটোন তৈরি হয়। হুইলিয়ার দেখেছিলেন, গ্যাসের পরমাণুর সাথে লেজারের আলোর মিথস্ক্রিয়ায় একটি আলোক তরঙ্গ তৈরি হয়। লেজার তরঙ্গ ইলেকট্রনকে অতিরিক্ত শক্তি দেয়। সেই শক্তিই আলো হিসাবে প্রকাশ পায়। ২০০১ সালে, পিয়ের অ্যাগোস্তিনি মাত্র ২৫০ অ্যাটোসেকেন্ড স্থায়িত্বের লাইট পাল্স তৈরি করেছিলেন এবং তা নয়ে গবেষণা করেছিলেন। প্রায় একই সময়ে, ফেরেঙ্ক ক্রউসের পরীক্ষাগুলি ৬৫০ অ্যাটোসেকেন্ড স্থায়িত্বের একক আলোর স্পন্দন তৈরি করতে পেরেছিল।

এর ফলে, অতি দ্রুত ঘটে যাওয়া বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াগুলি, যেগুলি আগে পরিমাপ করা যেত না, সেগুলি অধ্যয়ন করা সম্ভব হয়েছে। পদার্থবিদ্যার নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান, ইভা ওলসেন বলেছেন, “আমাদের সামনে এখন ইলেকট্রন জগতের দরজা খুলে গিয়েছে। অ্যাটোসেকেন্ড পদার্থবিদ্যা আমাদেরকে ইলেকট্রন নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়াগুলি বোঝার সুযোগ করে দিয়েছে। পরবর্তী ধাপ হল, তাদের কাজে লাগানো।”