Coronavirus in South Korea: একদিকে করোনা আক্রান্ত ৬ লক্ষের বেশি, ওমিক্রনের নতুন চেহারা নয় তো?
Coronavirus daily spike: বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮২ লক্ষের বেশি। স্থানীয়ভাবেই সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিওল : মাস কয়েক আগে ওমিক্রনের দাপট দেখেছে গোটা বিশ্ব। একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনার ওই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। সংক্রমণের তীব্রতা বেশি না হলেও, অনেক বেশি ও দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা। সেই দাপট কমেছে সব দেশেই। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জীবন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফের বিশ্বের একাধিক দেশ থেকে সংক্রমণের খবর আসতে শুরু করেছে। চিন, ইউকে-র পাশাপাশি করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী দক্ষিণ কোরিয়াতেও। একদিনে ৬ লক্ষ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে সে দেশে।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৩২৮ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪২৯ জনের। একদিনে একধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। ৪ লক্ষ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, স্থানীয়ভাবেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ।
করোনাকালে গত বুধবারই সবথেকে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দেখল দক্ষিণ কোরিয়া। করোনা বিধি আরও কড়া করার পথে হাঁটতে পারে সে দেশের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেখানে দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক জায়গায় যাতে ৬ জনের বেশি মানুষের জমায়েত না হয়, সেই নির্দেশও রয়েছে।
শুধু দক্ষিণ কোরিয়াই নয়। চিন, ইউকে-তেও একই পরিস্থিতি। চিনের দক্ষিণ দিকে প্রযুক্তি হাব হিসেবে পরিচিত শেনজেন শহরে নতুন করে লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। আতঙ্ক ফিরেছে মার্কিন মুলুকেও। নর্দমার জলে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালিয়ে কোভিডের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিডিসি নামে এক সংস্থা। সেই জলেই নতুন করে মিলেছে ভাইরাসের নমুনা। এ ক্ষেত্রে ওমিক্রনেরই নতুন ভ্যারিয়েন্ট কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্ক রয়েই যাচ্ছে।
অন্যান্য দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই দেশেও সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। বুধবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, ফার্মা সচিব ও কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রধান পরামর্শদাতা। বৈঠকে করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও আলোচনা করা হয়। আগামী ২৭ মার্চ থেকেই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। এখনও অবধি সেই সিদ্ধান্তে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।