Afghanistan crisis: শীঘ্রই খুলবে ছেলেদের স্কুল, মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে নীরব তালিবান

Afghanistan crisis, দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলের পর ইতিমধ্যেই মহিলাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে তালিব সেনার বিরুদ্ধে। দেশ দখলের সময় অবিবাহিত আফগান মেয়েদের বলপূর্বক বিবাহ করা নানা ঘটনা সামনে এসেছে বারবার।

Afghanistan crisis: শীঘ্রই খুলবে ছেলেদের স্কুল, মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে নীরব তালিবান
সামরিক আন্দোলনের সময় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিকেয় উঠেছে নারী নিরাপত্তা-শিক্ষা-স্বাধিনতা। ছবি ফাইল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 6:28 PM

যস্মিন দেশে যদাচার! তালিবান (Taliban) রাজে ক্রমশই যেন প্রাসঙ্গিক হচ্ছে এই শব্দবন্ধটি। নতুন তালিবান সরকারের শিক্ষা দফতর (education ministry of taliban govt) সূত্রে খবর, আজ শনিবার থেকে আফগানিস্তান জুড়ে, ছেলেদের বিদ্যালয়গুলি খুলে দেওয়া হবে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে শিক্ষা দফতরের প্রকাশিত বিবৃতিতে আফগানি মেয়েরা পুনরায় স্কুলে যেতে পারবেন কিনা ,সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

কাবুলকে (Kabul)কব্জা করার একা মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর, দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এখনও বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিও। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে, সরকার গঠনের পর দ্রুত আফগানিস্তানের (Afghanistan) শহর গুলিকে স্বাভাবিক করতে চাইছে তালিবানরা। ছেলেদের স্কুলগুলি খুলে দেওয়া, সেই পদক্ষেপের অঙ্গ বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন TMC in Tripura: অভিষেকের সফরের আগেই নোটিস পেলেন কুণাল

কিছু কিছু মেয়েদের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এখনও ক্লাস চলছে। খোলা রয়েছে বেশ কিছু মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ও। কিন্তু মেয়েদের উচ্চ বিদ্যালয় (High schools of Afghanistan) কবে খুলবে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি। তালিবান সূত্রে খবর, নীতিগত দিক থেকে পূর্বের তালিবান সরকারের মৌলবাদী সিদ্ধান্তগুলির পুনরাবৃত্তি করতে রাজি নয় নতুন তালিবান সরকার। আগের তালিবান সরকার নারী শিক্ষার (Women Education) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। মেয়েরা পৃথক শ্রেণীকক্ষে যতদূর ইচ্ছে পড়াশুনো চালিয়ে যেতে পারবে, এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নতুন তালিবান সরকার।

যদিও তালিবানরা কাবুল অধিগ্রহণের পর স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি। তবে তাঁদের সামরিক আন্দোলনের সময় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিকেয় উঠেছে নারী নিরাপত্তা-শিক্ষা-স্বাধিনতা (Women security in Afghanistan)। আফগান মহিলাদের বাড়ি থেকে বের হওয়াও যেন আতঙ্কের হয়ে উঠেছে এই মুহূর্তে। শিক্ষা নিয়ে তালিবানের দেওয়া শেষ বিবৃতিতে নারী শিক্ষা নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই।

পূর্বের তালিবান সরকারের শাসনকালে মহিলাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিস্তর অভিযোগ ছিল। শরিয়া আইনের দোহাই দিয়ে নারীদের যাবতীয় অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তালিবানরা। তারপর দীর্ঘ দু’দশক ধরে ধাপে ধাপে উন্নতি হতে থাকে আফগান মহিলাদের। দেশ শাসনের রাশ পুনরায় তালিবানের হাতে চলে আসায়, আগের পরিণতির কথা মাথায় রেখে শিউরে উঠছেন আফগানিস্তানের সাধারণ জনতা।

দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলের পর ইতিমধ্যেই মহিলাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে তালিব সেনার বিরুদ্ধে। দেশ দখলের সময় অবিবাহিত আফগান মেয়েদের বলপূর্বক বিবাহ করা নানা ঘটনা সামনে এসেছে বারবার। সম্প্রতি মহিলাদের এক শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্মম আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে আমেরিকা, ফ্রান্স, ভারতের মতো শক্তিধর দেশগুলি তালিবানি সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি। সমগ্র বিশ্বের নজর এখন আফগানিস্তানের ওপর রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে নারীদের প্রতি আগ্রসী হওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই তালিবানের কাছে। আগামী দিনে আফগানিস্তানে নারীদের অবস্থা কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।

আরও পড়ুন e-Auction: নীরজের জ্যাভেলিন নয়, সবথেকে দামী লভলিনার বক্সিং গ্লাভসই, নিলামে কত দাম উঠল জানেন?