Exclusive: ‘প্লিজ নামটি গোপন রাখুন, গর্ভের সন্তানকে খুন করে তালিবান, আমারও সন্তান আছে’

Afghanistan: প্রায় এক মাস পর আসিফার জবাব এল। দেশ ছাড়া তাঁর এখনও হয়ে ওঠেনি। পরিবারের মুখ চেয়ে এই কাজটা করে উঠতে পারেননি আসিফা। পরিস্থিতির সঙ্গে কিছুটা তাই যুঝতে হয়েছে তাঁকে। এখন তিনি রাজি সাক্ষাৎকার দিতে।

Exclusive: 'প্লিজ নামটি গোপন রাখুন, গর্ভের সন্তানকে খুন করে তালিবান, আমারও সন্তান আছে'
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Updated on: Sep 27, 2021 | 4:24 PM

কাবুল দখল হওয়ার পর প্রকাশ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তালিবান জঙ্গিদের সামনে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সাংবাদিক আসিফা (নিরাপত্তার খাতিরে আসল নামটি গোপন রাখা হল)। মহিলা সাংবাদিকের এ হেন দুঃসাহসিকতা বড্ড বেমানান আফগান ভূমিতে। বিশেষত যখন আবার ক্ষমতার অলিন্দে তালিবান! যার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন, তার দু’পাশের দুই দেহরক্ষীর একজন রকেট লঞ্চার, আর একজন একে ফরটি সেভেন নিয়ে দাঁড়িয়ে। এই সময় প্রশ্ন করা তো দূরস্ত, মুখ ফুটে শব্দ বের হতে কতটা কলিজার জোর লাগে, তা হাড়েহাড়ে জানেন ফিল্ড রিপোর্টাররা। এই সাক্ষাৎকার নিয়ে সে দিন প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন আসিফা। এরপর তাঁর জীবন বদলে যাওয়ার কথা! কিন্তু আসিফার যখন খোঁজ নিলাম, তাঁর ছোট্ট জবাব এল, “এই মুহূর্তে ভীষণ বিপদে আছি। দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছি। নিরাপদে পৌঁছে নিশ্চয়ই ইন্টারভিউ দেব।” সত্যি এরপর আর প্রশ্ন করা সাজে না। কুশলে আছেন কিনা প্রতিদিন সেই খবরটাই কেবল নিতে থাকি। দু’তিন দিন পর তাঁর জবাব আসত। তবে, সাক্ষাৎকার নেওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে পড়ল কাবুল বিমানবন্দরে (Kabul Airport) বিস্ফোরণের পর। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। নিরাপদে সাক্ষাৎকার নিতে গেলে অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর কী বা করা যায়!

প্রায় এক মাস পর আসিফার জবাব এল। দেশ ছাড়া তাঁর এখনও হয়ে ওঠেনি। পরিবারের মুখ চেয়ে এই কাজটা করে উঠতে পারেননি আসিফা। পরিস্থিতির সঙ্গে কিছুটা তাই যুঝতে হয়েছে তাঁকে। এখন তিনি রাজি সাক্ষাৎকার দিতে। এই এক মাসে বিপুল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে আফগানিস্তানের। সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে তালিবান। কুখ্যাত জঙ্গিরা, যাদের মাথার দাম ডলারে, তারা জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ‘দেশ গড়ার’ কাজে মন দিয়েছে। মাঝে মাঝে খবর আসছে তালিবানি সন্ত্রাসের। কোথাও সাংবাদিকদের পিটিয়ে ছাল তুলে নিচ্ছে, কোথাও প্রতিবাদ করলেই গুলি! কাবুলিওয়ালার দেশ পরিণত হয়েছে ত্রাসের দেশে। প্রশ্ন করলাম আসিফাকে, আগে বলুন, কেমন আছেন? পরিবারের সবাই কেমন আছেন?

Ξ আসিফা বললেন, “আমার কুশল জানার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। এই পরিস্থিতি বর্ণনা করা আমার পক্ষে অসম্ভব। তবে বলব, বাঁচার চেষ্টা করছি। যদিও আমাদের কিছু করার নেই। এই পরিস্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি এখন। তবে যতটা সম্ভব লক্ষ্যে অবিচল রেখে এগিয়ে চলেছি।”

এই ফাঁকে জানিয়ে রাখি আসিফা শুধুই সাংবাদিক নন, সমাজকর্মীও। আফগানিস্তানের মেয়েদের নিয়ে নানা কাজ করেন আসিফা। আর এর জন্য তালিবানের হিটলিস্টেও রয়েছেন তিনি। তালিবানের ভ্রুকুটি এড়িয়ে আট মাসের কন্যাকে নিয়ে অফিস-সমাজসেবা করা যে কতটা কঠিন, ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বৌ’ সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি কথনের সুবাদে তা আমাদের জানা। বললাম, কাবুল দখল হওয়ার পর এই একমাসে আপনার আশপাশে কী পরিবর্তন দেখছেন? আপনার প্রতিবেশীরা তালিবান সম্পর্কে কী ভাবছেন?

Ξ আসিফা বললেন, “আফগানিস্তানে রিপাবলিকান সিস্টেমের পতন হওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটা ধোঁয়াশায় ঢাকা। কাঁচা মাল বিক্রি হয় এমন কিছু দোকান খুলেছে, বাকিটা সম্পূর্ণ বন্ধ। পাবলিক সার্ভিস একেবারে বন্ধ। হাসপাতালগুলি চলছে পার্ট-টাইমে। হেল্থ সিস্টেম পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৯০ শতাংশ স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এ তথ্য স্বীকার করা হয় না। আর একটা বিষয়, বেকারত্বের পাশাপাশি চরম সীমায় পৌঁছেছে দারিদ্র।”

প্রতিবেশীদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে আসিফা বলেন, “তালিবানের আচরণ আনপ্রেডিক্টেবল। কোন একজনের নির্দেশে তালিবান চলে না। প্রতিদিন নতুন নতুন আইন তৈরি করছে তারা। যার ফলে সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না কখন কী করা উচিত। তালিবানকে জঙ্গি হিসাবেই দেখে সাধারণ মানুষ। তাদের আচরণ এতটাই প্রতিহিংসাপরায়ণ যে কেউ প্রতিবাদ করতে ভয় পায়।”

টুইটে আপনি জানিয়েছিলেন, সাড়ে আট মাসের এক গর্ভবতী মহিলাকে গুলি করে খুন করে তালিবান। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

Ξ আসিফার এই রিপোর্ট সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তা উল্লেখ করেই তিনি জানান, সাড়ে আট মাসের গর্ভবতী নার্গিস ৪ সন্তানকে নিয়ে কাবুলে আসেন ভালভাবে বাঁচার জন্য। কিন্তু তালিবান যে কাবুলও দখল করবে কে জানতো! সে দিন বাজারে যেতে গিয়ে তালিবানের গুলিতে গুরুতর আহত হন নার্গিস। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। গর্ভেই মারা যায় নার্গিসের সন্তানও। আসলে কোনও নিরাপত্তাই দিতে পারেনি তালিবান। প্রতিদিন খুন হচ্ছে। এবং অবলীলাক্রমে তার দায়ও অস্বীকার করছে তারা।

তখনও বেঁচে নার্গিস। তখনও বেঁচে গর্ভের সন্তানটিও। ছবি- টুইটার

যে সব সাংবাদিকদের ভয়ানকভাবে প্রহার করা হয়েছে, তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তাঁরা তো আপনারই সহকর্মী শুনেছি। কেমন আছেন তাঁরা?

Ξ এই যে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, এই মুহূর্ত পর্যন্ত বলব, তারা ভাল নেই। এক সপ্তাহ হয়ে গেল। উঠতে পর্যন্ত পারছে না তারা। কিন্তু জানেন, এরপরও বলছে, দ্রুত সুস্থ হয়েই কাজে জয়েন করবে এবং ফের তালিবানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে খবর করবে।

Taliban Journalist

তালিবানের হাতে প্রহৃত সাংবাদিকরা। ছবি- টুইটার

আচ্ছা, আপনি এর আগে আমাকে জানিয়েছিলেন, আপনার পরিবারে ১২ জন সদস্য এবং তাঁরা সবাই বেকার। কেন তাঁরা বেকার? এমন পরিস্থিতি কেনই বা হল?

Ξ আমি আপনাকে শুধু একটি পরিবারের কথা বলছি। আমার বাবা দিনমজুর। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাঁর কোনও কাজ নেই। একটি কোম্পানিতে ফিনান্সিয়াল ম্যানেজার ছিল আমার ভাই। সেও বেকার। শুধু আমার ভাই নয়, ওই কোম্পানির ৬০০ জন কর্মীরও কাজ নেই। আমার দুই বোন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। নামী কোম্পানিতে কাজ করত তাঁরা। গত কয়েক মাস বেতন পায়নি। এখন তাঁরাও বেকার। মেয়েদের জন্য নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ায় তাঁদের ভবিষ্যতও অন্ধকার।

এবার আমার স্বামীর পরিবারের কথা বলি, আমার শ্বশুর সরকারি কর্মচারি ছিলেন। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাঁরও চাকরি নেই। তাঁর সন্তানদের মধ্যে চার জন পড়াশুনা করে। কিন্তু অর্থের অভাবে তাদের পড়াশুনা আটকে রয়েছে। আমার এক দেওর স্কুল শিক্ষক। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরও কাজ নেই। তাঁর স্ত্রী আইন নিয়ে পড়াশুনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তাদের সন্তানের পড়াশুনাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

একমাত্র আমার স্বামীর কাজ আছে। যেহেতু সে আমার মতো সাংবাদিক। আমি তো মাত্র একটা পরিবারের উদাহরণ দিলাম। আফগানিস্তানের কতশত পরিবারের এটাই বাস্তব পরিস্থিতি।

এরপর দেশের বেকারত্ব নিয়ে আসিফা যে রিপোর্ট তুলে ধরলেন, তাও চমকে দেওয়ার মতো। তিনি বলছেন, আফগানিস্তানের ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষের মধ্যে কাজ করেন এক কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি। ২০১৮ সালে (পারস্য ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৩৯৮) প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ বেকার হন। ২০১৯ সালে করোনা শুরু হওয়ার পর তা ছাপিয়ে এক কোটি ৮০ লক্ষ বেকার দাঁড়িয়েছিল। এরপর যে কথাটা বললেন, শুনলে হয়ত আপনিও বিশ্বাস করবেন না। আসিফার দাবি, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর মোট জনসংখ্যার ৯৯.৯ শতাংশই বেকার। সব কিছু স্থবির হয়ে গিয়েছে। দারিদ্রও চোখে দেখা যাচ্ছে না। দু’দিন পর সাক্ষাৎকারটি এডিট করার সময়, মোবাইলে আসিফার একটি টুইট ভেসে উঠল। কুনার প্রদেশের এক প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, শুধুমাত্র বেকারত্বের কারণে তাঁকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়। ধিক্কার এই যুদ্ধকে।

Suicide in Afghanistan

দারিদ্র আর বেকারত্ব এভাবেই কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ। ছবি- টুইটার

তালিবান ক্ষমতায় আসায় সবথেকে বেশি উদ্বিগ্নের বিষয় মহিলাদের নিরাপত্তা। সত্যি কথা বলুন তো, ঠিক কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে মহিলাদের?

Ξ আসিফা বলেন, তালিবানের সব থেকে বড় বাধা মহিলারাই। মহিলাদের জন্য অদ্ভুত সব আইন। বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ। প্রাথমিক শিক্ষার অনুমতি থাকলেও মহিলাদের কোনও লক্ষ্য নেই। চাকরি নেই। আয় নেই। মেয়েদের পড়ানোর জন্য কোনও খরচ করা হয় না। প্রতি মুহূর্তে মহিলাদের শোষণ করা হচ্ছে।

এই যে তালিবান বলছে, শরিয়া আইন কার্যকর করা হবে। আপনি কি মনে করেন, শরিয়া মহিলাদের জন্য ইতিবাচক আইন?

Ξ  দেখুন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই আইনের বিরোধী। মহিলারা অত্যন্ত সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু ইসলামে কোথাও লেখা নেই, মহিলারা কাজ করতে পারবে না। লেখাপড়া করতে পারবে না। উল্টে নারী-পুরুষের সমনাধিকারের কথা বলা আছে ইসলামে। কিন্তু এই সব অমান্য করে উগ্র-রক্ষণশীল পথে হাঁটছে তালিবান। আর এর জন্য যাঁরা প্রতিবাদ করছেন তাঁরাই তালিবানের টার্গেট হয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, তালিবানের শরিয়া আইন মহিলাদের জন্য একদমই ঠিক নয়।

আমার মনে হয় এই প্রথম তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মহিলারা রাস্তায় নেমেছেন। দু’দশক আগে এমন নজির দেখা যায়নি। এতে কি কিছু আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন?

Ξ  প্রতিবাদ যে আরও জোরালো হবে সেই আশা রাখছি। দাবিগুলো প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই সমাজে বৈধতা পাব আমরা। নারীদের এভাবে দমিয়ে রাখতে পারবে না তালিবান। আশা রাখছি, আমাদের এই লড়াইয়ে পাশে থাকবে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিও।

তালিবানের বিরুদ্ধে কি বড়সড় প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছে?

Ξ  আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-মিছিল তো হচ্ছেই। তা রোধ করতে আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে তালিবানও। এর ফলে মানুষ একটু ভয় পেয়ে যাচ্ছে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে, তালিবান এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় আকারের বিক্ষোভ হতে দেখা গিয়েছে।.

আপনি যেহেতু সাংবাদিক, পঞ্জশীর সম্পর্কে এই মুহূর্তে আপনার কাছে কী খবর আছে? তালিবান বলছে পঞ্জশীরের দখল নিয়েছে তারা। মাসুদ বাহিনী আবার অস্বীকার করছে। এত দূরে বসে সঠিক খবর আমাদের কাছে আসছে না।

Ξ  দেখুন, আমার কাছেও সঠিক খবর নেই। তার কারণ, পঞ্জশীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তালিবান। সেখানকার কী অবস্থা আমাদের কাছেও ধোঁয়াশা।

যদি মাসুদ আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসতেন, তাহলে কি তালিবানের থেকে ভাল হতো?

-এই তুলনা করাটা কতটা ঠিক জানি না। তবে হ্যাঁ, মাসুদ যেহেতু উন্নয়ন এবং প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী অবশ্যই ভাল হতো।

Taliban Afghanistan

বুঝলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখন তালবানের শাসনেই থাকতে হবে আপনাদের। শেষ প্রশ্ন, যদি শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে হয় তালিবানের কাছ থেকে বেসিক দাবি কী আপনার?

Ξ  প্রথম কথা, তালিবানকে জঙ্গি হিসাবে দেখি আমি। তাই তাদের কাছে মাথা নত করার প্রশ্নই ওঠে না। আফগানিস্তানের মানুষের মন জয় করতে হবে তালিবানকে। মানুষের অধিকারকে সম্মান করা শিখতে হবে তাদের। দুর্নীতি, বৈষম্য দূর করার সঙ্গে মানুষের কাজও সুনিশ্চিত করা ভীষণ জরুরি।

সাক্ষাৎকারের শেষে আসিফা যে অনুরোধটি করল, তা ফেলে দেওয়ার সাহস আমার ছিল না। তিনি বলেছিলেন, নামটি গোপন রাখলে ভাল হয়। তাঁরও ৮ মাসের কন্যা রয়েছে। গর্ভের সন্তানকে গুলি করে মারতে যে তালিবানের বুক কাঁপে না, অসহায় আসিফা চান না তাঁর পরিবারে এমন কোনও বিপদ ঘনিয়ে আসুক। আসল পরিচয় গোপন রাখলে হয়ত এই সাক্ষাৎকারের ঔজ্জ্বল্য কমতে পারে। ক্ষতি কী! কাবুলিওয়ালার দেশে আসিফার ‘খোকি’ যদি নিরাপদে থাকে, সেটাই যথেষ্ট। নামে কীই বা আসে যায়, তাই না?