আফগানিস্তান ইস্যুতে কোন পথে এগোবে বিশ্ব ? আগামী সপ্তাহেই বৈঠকে আমেরিকা-চিন সহ ৯ দেশ
Afghanistan Crisis : আগামী সপ্তাহে, জি-৭ দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠকে বসতে চলেছেন। বৈঠকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং তার উপর ভিত্তি করে আগামীর রূপরেখা তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে চিন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও থাকতে পারেন।
টোকিও : আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল ? আগামী সপ্তাহেই বৈঠকে বসতে চলেছেন জি-৭ দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। বৈঠকে থাকবে চিন এবং রাশিয়াও। কিছুদিন আগেই ভারতের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনওভাবেই আফগানিস্তানের মাটিকে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। এবার আগামী সপ্তাহে ৯ দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে আফগানিস্তান ইস্যুতে কী কী বিষয় উঠে আসে, সেই দিকেই তাকিয়ে কূটনৈতিক মহল।
জাপানের বিদেশমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে, জি-৭ দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠকে বসতে চলেছেন। বৈঠকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং তার উপর ভিত্তি করে আগামীর রূপরেখা তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে চিন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও থাকতে পারেন।
এদিকে তালিবান সরকারের হাতে আফগানিস্তানে মানবাধিকার যে একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছাতে পারে, এমন আশঙ্কা করছে রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংগঠনগুলি। সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আফগানদের জন্য। বিশেষ করে তাঁরা যেভাবে সীমান্ত এলাকাগুলিতে আশ্রয় খুঁজছেন, তা সত্যিই মর্মস্পর্শী। প্রায় ৫ লাখ আফগান নাগরিক ঘরছাড়া। কেউ অন্য দেশে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন, কেউ আবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্য কোনও জায়গায় গিয়ে লুকিয়েছেন তালিবদের ভয়ে। পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলও।
মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকা, জার্মানি সহ অন্যান্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা আলোচনায় বসতে পারেন। আগামী বুধবার ব্লিঙ্কেন জার্মানি যাচ্ছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী হেইকো মাসের সঙ্গে বৈঠক করতে। এদিকে জাপানের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় ২০ টিরও বেশি দেশ তালিবানদের মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনায় বসতে চায়।
মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়লেও আমেরিকা যে আফগানদের ভুলে যায়নি, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। জানিয়েছেন, আমেরিকার কাছে এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আফগানদের সাহায্য করা। মার্কিন মুলুক প্রতিশ্রুতি আমরা পালন করে যাবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তান সম্পর্কে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে খুব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে, আন্তর্জাতিক মহল আফগানিস্তানের থেকে কী আশা করছে। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্দেশীয় অবাধ যাতায়াত, আফগানদের মৌলিক অধিকারগুলি ক্ষুন্ন না করা,মহিলা এবং শিশুদের অধিকার… এমন বেশ কিছু ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের গতিবিধি আতসকাচের তলায় রাখতে চাইছে আন্তর্জাতিক মহল।
এখন দেখার ৯ দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক থেকে কী নির্যাস উঠে আসে। কারণ, চিন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, বেজিং তালিবানের পাশে থাকবে। তালিবরাও বলেছে, তাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার চিন। এইরকম একটি পরিস্থিতিতে চিনকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকের পর আফগানিস্তান ইস্যুতে কোন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই দিয়েই তাকিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক মহল। আরও পড়ুন : ইরাকে ফের সক্রিয় আইসিস, মধ্যরাতে চেকপোস্টে হামলায় মৃত ১৩ পুলিশ কর্মী