Afghanistan Issue: অস্থায়ীভাবে আমেরিকায় প্রবেশাধিকার চান ২৮ হাজার আফগানি, হাতে গোনা কয়েকজনই পেলেন প্রবেশের অনুমতি
Afghanistan, ৩৮ বছর বয়সী আমেরিকার এই অধিবাসী প্রাণভয়ে নিজের পদবী বলতে অস্বীকার করেছেন। কারণ এতে তাদের আত্মীয়দের জীবনে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। তিনি প্রার্থনা করছেন, তাঁর বোন, তাঁর কাকু এবং তাদের পরিবারকে অক্ষত অবস্থায় এই দেশে নিয়ে আসতে পারেন।
কাবুল: চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) মসনদ দখল করেছে তালিবান (Taliban)। তারপর থেকেই সেদেশেই পরিস্থিতি যথেষ্ট গুরুতর। কাবুলের মসনদ তালিবানের হাতে যাওয়ার পর থেকেই সেদেশে থেকে সেনা উদ্ধার করে আমেরিকা। আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ হাজার আফগান নাগরিক মানবিকতাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে অস্থায়ীভাবে আমেরিকাতে প্রবেশের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের আধিকারিকদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৮ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ১০০ জনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ আবেদন জমা পড়ার মার্কিন অভিবাসন দফতরের আধিকারিকদের নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। আদতে মানবিকতার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিপুল আবেদন গ্রহনযোগ্যতা যাচাই করার জন্য মার্কিন অভিবাসন দফতরে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। তবে তাদের আশ্বাস দ্রুত কর্মীদের সংখ্যা বাড়িয়ে আবেদন গুলি যাচাই করে দেখা হবে। মার্কিন মূলুকে বসবাসকারী আফগানরা ছাড়পত্রের এই ধীর গতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে অনুমতি পেতে দেরি হলে তাদের প্রিয়জনের প্রাণহানির সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়বে।
সাফি নামের ম্যাসাচুসেটের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন “আমার ২১ জন আত্মীয় মানবিকতার ভিত্তিতে আমেরিকাতে প্রবেশের অধিকার জানিয়েছে। তাদের কে নিয়ে আমি বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। আমার মনে হয় কোনও দিন আমি ঘুম থেকে উঠে ফোন পাব এবং শুনব তাঁরা আর বেঁচে নেই।”
৩৮ বছর বয়সী আমেরিকার এই অধিবাসী প্রাণভয়ে নিজের পদবী বলতে অস্বীকার করেছেন। কারণ এতে তাদের আত্মীয়দের জীবনে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। তিনি প্রার্থনা করছেন, তাঁর বোন, তাঁর কাকু এবং তাদের পরিবারকে অক্ষত অবস্থায় এই দেশে নিয়ে আসতে পারেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার আত্মগোপন করে রয়েছেন। সম্প্রতি তাদের বাড়ি বিস্ফোরনে ভস্মীভূত হয়েছে। তাঁর দুশ্চিন্তার আরও বেশি কারণ রয়েছে। কারণ তালিবানের কাবুল অধিগ্রহনের আগে তাঁর কাকু একজন পরিচিত স্থানীয় আধিকারিক ছিলেন।মানবিকতার ভিত্তিতে আমেরিকায় প্রবেশাধিকার পেতে যে আবেদনপত্র জমা দিতে হচ্ছে, প্রতি আবেদন পিছু ৫৭৫ মার্কিন ডলায় জমা দিতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ অগাস্ট কাবুলের মসনদে বসেছে তালিবান। তারপর থেকে সেই দেশে তালিবানের মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সব থেকে বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সেদেশের নারীরা। এর আগের তালিবান শাসনে সেদেশের মহিলাদের ন্যূনতম অধিকার হরণে অভিযোগ উঠেছিল তালিবানের বিরুদ্ধে। মহিলাদের শিক্ষালাভ থেকে শুরু করে যাবতীয় অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তালিবান।