Rover in Mars: এখন ‘স্বাধীন’ নাসার রোভার, নিজের ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াচ্ছে মঙ্গলের ‘অলিগলিতে’
মঙ্গলের বুকে রোভারের সেল্ফ ড্রাইভিং মোডের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার আশা করছে নাসা। এর জেরে মঙ্গলের বুকে এমন অনেক জায়গায় নিজেই পৌঁছে যেতে পারবে রোভার। সেখান থেকে অনেক অজানা তথ্য এবং নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে রোভার।
নয়াদিল্লি: মঙ্গল গ্রহে ইতিমধ্যেই যান পাঠিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার রোভার মঙ্গলের মাটিতে ঘুরে বেড়িয়ে ইতিমধ্যেই অনেক তথ্য পাঠিয়েছে। তবে এত দিন মঙ্গলের মাটিতে থাকা ওই রোভারের চলাফেরা পৃথিবী থেকেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল। কিন্তু এখন থেকে আর তা ঘটবে না। মঙ্গলের মাটিতে নিজেই নিজেকে চালনা করবে নাসার ওই রোভার। অটোনভ সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে তা সম্ভব হবে বলে নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেল্ফ ড্রাইভিং মোড অর্থাৎ নিজের চলাফেরা নিজেই নিয়ন্ত্রণ করার তথ্যও নাসাকে পাঠিয়েছে মঙ্গলে থাকা ওই রোভার। মঙ্গলের উঁচু নীচু, পাথুরে রাস্তা দিয়ে নিজের চলাফেরা পরিচালনা করছে নাসার ওই রোভার। সেল্ফ ড্রাইভিং মোডের মাধ্যমে মঙ্গলের পাথুরে রাস্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই গিয়েছে ওই রোভার। এবং এতে সময়ও নাকি লেগেছে অনেকটাই কম।
মঙ্গলের বুকে রোভারের সেল্ফ ড্রাইভিং মোডের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার আশা করছে নাসা। এর জেরে মঙ্গলের বুকে এমন অনেক জায়গায় নিজেই পৌঁছে যেতে পারবে রোভার। সেখান থেকে অনেক অজানা তথ্য এবং নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে রোভার। নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মঙ্গলের স্নোড্রিফ্ট পিকে (১৭০০ ফুট চওড়া) অনুসন্ধান চালিয়েছে নাসার রোভার।
নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, রোভারের সেল্ফ ড্রাইভিং সিস্টেম কাজ করায় অনুসন্ধানের পথ খুঁজতে অনেক সুবিধা হচ্ছে নাসার। এর জেরে যাতায়াতের সময় লাগছে অনেক কম। এ জন্য আরও নির্দিষ্ট জায়গায় রোভারকে পাঠানোর আশা করছে নাসার বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে নাসার এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, অটোনভ সিস্টেমের মাধ্যমে যাতায়াতের সময় কমেছে। স্নোড্রিফ্ট পিক সফর মাত্র ১২ মঙ্গলদিনে শেষ করেছে রোভার। যা কিউরিসিটি রোভারের থেকে অনেক কম সময় নিয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করেছিল নাসার রোভার। তার পর থেকে তা মঙ্গলের মাটি চষে বেরিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। আগামী কয়েক বছর এ ভাবেই সে কাজ চালিয়ে যাবে বলে আশা নাসার।