Taliban: শেষমেশ তালিবানের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে চলেছে ওয়াশিংটন? বৈঠক ঘিরে জল্পানা

America, Afghanistan, আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন মার্কিন সেনা বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। তাদের পরামর্শ ছিল আফগানিস্তানে কমপক্ষে ২৫০০ জন সেনার একটি দল তৈরি রাখা প্রয়োজন।

Taliban: শেষমেশ তালিবানের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে চলেছে ওয়াশিংটন? বৈঠক ঘিরে জল্পানা
১০০ জন মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তান ছাড়বেন কিনা সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ছবি ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2021 | 7:02 PM

ওয়াশিংটন: এবার কি তবে তালিবানের (Taliban) সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে চাইছে আমেরিকা (America)? ঘটনা প্রবাহ অনেকটা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম আফগানিস্তানের নয়া শাসক তালিবানের সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চলেছে মার্কিন প্রতিনিধিরা। শনিবার কাতারের (Qatar) রাজধানী দোহাতে (Doha) আমেরিকার প্রতিনিধি দলের মুখোমুখি বসার কথা রয়েছে তালিবান সরকারের প্রতিনিধিদের।

রাশিয়ার (Russia) রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন আগামী ২০ অক্টোবর মস্কোতে (Moscow) অনুষ্ঠিত হতে চলা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। তারপরেই তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার এক টেবিলে বসার খবর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন ” আমরা আফগানিস্তানের নতুন অন্তর্বতী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই তারা যেন সাধারণ আফগান জনগণ বিশেষত মহিলা ও মেয়েদের মৌলিক অধিকার গুলি হরণ না করে। আমরা তাদের বলতে চাই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সরকারের প্রতি সমর্থন আদায়ে করার ক্ষেত্রে এটি অত্যাবশকীয় পদক্ষেপ।”

আমেরিকার ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে মানবিক সংগঠন গুলির অবাধ বিচরণ এবং আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত আফগান জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে সরকার যাতে কোনও রকম বাধার সৃষ্টি না করতে পারে সেই বিষয়ে তালিব শাসকদের চাপ দেওয়াই আমেরিকার প্রধান লক্ষ্য।

আফগানিস্তানের নয়া শাসকদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলে সেটা নিয়ে যে বিতর্ক হতে পারে তা আন্দাজ করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকের বসার অর্থ এই নয় যে আমেরিকা, আফগানিস্তানের নব গঠিত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। একমাত্র নিজেদের কাজের মাধ্যমেই স্বীকৃতি আদায় করা সম্ভব বলেই মনে করে আমেরিকা।

সূ্ত্রের খবর এই বৈঠকের পিছনে বাইডেন প্রশাসনের আরও একটি উদ্দেশ্য আছে। মার্কিন নাগরিক ও গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানের বন্ধু দেশ গুলির নাগরিকদের সেদেশে প্রবেশের অনুমতি আদায়ও এই বৈঠকের অন্যতম কারণ। সংবাদ সংস্থা এএফপির একটি প্রতিবেদন সূত্রে খবর ১০০ জন মার্কিন নাগরিক  আফগানিস্তান ছাড়বেন কিনা সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ওই বৈঠকে দুপক্ষেপ তরফে কারা থাকবেন সেই নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র কিছু জানাননি।

এর আগে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন মার্কিন সেনা বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। তাদের পরামর্শ ছিল আফগানিস্তানে কমপক্ষে ২৫০০ জন সেনার একটি দল তৈরি রাখা প্রয়োজন। কারণ তালিবান (taliban) এখনও আল কায়দা (al Qaeda) জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেনি বলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মার্কিন সেনা। আল কায়দা জঙ্গিদের সঙ্গে আমেরিকার দীর্ঘ সংঘাতের ইতিহাস প্রায় সকলেরই জানা। এবার এই বৈঠকের পর দুদেশের সম্পর্ক এখন কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আরও পড়ুন Afghanistan: ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে দেশের মাটি, বিদেশে আর মন টিকল না ওঁদের, দিল্লি থেকে ইরান হয়ে কাবুলের পথে ১০০ আফগান নাগরিক