Afghanistan: ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে দেশের মাটি, বিদেশে আর মন টিকল না ওঁদের, দিল্লি থেকে ইরান হয়ে কাবুলের পথে ১০০ আফগান নাগরিক

Afghan refugees returning Kabul: শুক্রবারই ভারত ছেড়ে নিজেদের দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রায় ১০০ জন আফগান নাগরিক।

Afghanistan: ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে দেশের মাটি, বিদেশে আর মন টিকল না ওঁদের, দিল্লি থেকে ইরান হয়ে কাবুলের পথে ১০০ আফগান নাগরিক
বেশিরভাগ শক্তিধর রাষ্ট্রই নব গঠিত তালিবান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি।ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2021 | 6:02 PM

নয়া দিল্লি : প্রতিদিন রক্ত ঝরছে আফগানিস্তানে। তালিবানের থেকেও এখন সেখানে বেশি ভয় আইসিস খোরাসানকে নিয়ে। তালিব ও আইসিস উভয়ই কট্টর ইসলামিক গোষ্ঠী। কিন্তু তালিবদের থেকে আরও বেশি কট্টর, উগ্র এবং ভয়ঙ্কর আইসিস খোরাসান। কিন্তু এরই মধ্যে ভারত থেকে আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রায় ১০০ আফগান নাগরিক।

সেখানে তাঁদের বাড়ি রয়েছে। নিকট আত্মীয়রা রয়েছেন সেখানে। আর প্রতিদিন এই হিংসার খবর টেলিভিশনে দেখতে পাচ্ছিলেন তাঁরা। রোজই বোমা পড়ছে। রক্ত ঝড়ছে। এই বিদেশে আর কিছুতেই মন টিকছিল না তাঁদের। পিছনে ফেলে আসা মানুষগুলোর কথা মনে করে মন আরও ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল তাঁদের। আর তাই শুক্রবারই ভারত ছেড়ে নিজেদের দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রায় ১০০ জন আফগান নাগরিক।

ভারত এখনও আফগানিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করেনি। কিন্তু ইরান থেকে আফগানিস্তান যাওয়া যাচ্ছে আকাশ পথে। তাই আর দেরি না করে ইরান হয়েই আফগানিস্তান যেতে চাইছেন তাঁরা। গতকাল মাহান উড়ানসংস্থার বিমানে দিল্লি থেকে ইরানের উদ্দেশে পারি দিয়েছেন ওই ১০০ আফগান নাগরিক। তারপর সেখান থেকে নিজেদের দেশে ফিরবেন তাঁরা।

আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি কিন্ত মোটেও ভাল নেই। তালিবানদের থেকে ভয় কিছুটা কমলেও এই সেখানে নতুন ত্রাস হয়ে উঠছে আইসিস খোরাসান। আফগানিস্তানে একই সপ্তাহে পরপর তিনটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। গতকাল মসজিদে হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। শিয়া মসজিদে সেই হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, আমেরিকা এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের কড়া নিন্দা জানাচ্ছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানায় আমেরিকা। মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব নেড প্রাইস বলেন, সন্ত্রাস মুক্ত ভবিষ্যতের অধিকার রয়েছে আফগানদের।

ইতিমধ্যেই শিয়া মসজিদে ওই হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে এটা ছিল আফগানিস্তানের তৃতীয় হামলার ঘটনা। গত বুধবার একটি মাদ্রাসায় হামলা হয় সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন।

শুক্রবারের নমাজের সময় একটি শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। এই দিনটির নমাজ মুসলিমদের জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কুন্দুজ় প্রদেশের রাজধানীতেই বাড়ি স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জালমাই আলোকজ়াইয়ের। বিস্ফোরণের পরই তিনি ছুটে যান হাসপাতালে। যদি জখমদের কারও রক্তের দরকার পড়ে… তাই আর দেরি করেননি ওই আফগান নাগরিক। সবাইকে হয়ত চেনেনও না তিনি। কিন্তু সহনাগরিক তো! তাই ঘরে বসে থাকতে পারেননি জালমাই। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি ঘটনার ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, আমি ৪০ টিরও বেশি মৃতদেহ দেখেছি। অ্যাম্বুলেন্সগুলি হাসপাতাল থেকে আবার বিস্ফোরণস্থলে ফিরে যাচ্ছিল আরও দেহ নিয়ে আসার জন্য।”

আরও পড়ুন : Kabul Blast: ‘সন্ত্রাস-মুক্ত ভবিষ্যতের অধিকার আছে আফগানদের’, ভয়াবহ বিস্ফোরণের কড়া নিন্দা আমেরিকার