China Covid Lockdown: সাংহাইবাসীদের সঙ্গে ‘পশুর মতো’ আচরণ করা হচ্ছে, চিনা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব বাসিন্দারা
Covid Lockdown: সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে সাংহাইয়ের ৪০ জন বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কবলে এই মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক।
বেজিং: চিনের (China) উহান (Wuhan) থেকেই করোনা মহামারি (Corona Pandemic) গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, এই কথা এখন সকলেই জানেন। করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্বে নতুন করে বিবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছিল, যা এখনও কেটে যায়নি। শুধু তাই নয়, ২ বছর পরও করোনা ভাইরাস এখনও মুছে যাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই, বরং নতুন রূপে মাঝেমধ্যেই এই ভাইরাস মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। সেই কারণে সংক্রমণের হার কমলেও আতঙ্ক এখনও পুরোপুরি কাটেনি। চিনে আবার নতুন করে করোনা সংক্রমণ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। চিনের অন্যতম বড় শহর সাংহাইতে (Shanghai) করোনা সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে। বাড়তি সংক্রমণের মুখে সাংহাইতে কঠোর লকডাউন জারি করেছিল প্রশাসন, এই কথা আগেই জানা গিয়েছিল। সাধারণভাবে চিনের বেশিরভাগ খবরই গোটা বিশ্বে প্রকাশিত হয় না, দেশের সংবাদমাধ্যম গুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করে শি জিংপিংয়ের সরকার। শাংহাইয়ে করোনার এই নতুন সংক্রমণের মোকাবিলা করতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে স্থানীয়, সংক্রমণ রোখার পিছনে সরকার এতটাই অনমনীয় যে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
সাংহাইয়ের যে সব বাসিন্দারা করোনাতে আক্রান্ত হচ্ছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ির বাইরে বেড়া লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে। চিনা সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে নিজদের ভয়ঙ্কর অবস্থার কথা জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা, অনেকেরই অভিযোগ তাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে। ওই প্রতিবেদন স্থানীয় এক বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ” ন্যূনতম অধিকার নেই, যা খুবই অসম্মানজনক। গৃহপালিত পশুদের মতো ধাতব বেড়া ব্যবহার করে তাদের বাড়িতে আটকে রাখা হচ্ছে।” ওয়েইবো সহ বেশ কিছু চিনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের বাড়ির বাইরে সবুজ ধাতব বেড়া বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া মারফতই জানা গিয়েছে, কোনও রকম সতর্কবার্তা ছাড়াই তাদের বাড়িই বাইয়ে বেড়াগুলি বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে সাংহাইয়ের ৪০ জন বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কবলে এই মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক। যাঁরা করোনাতে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বলপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকে চিনের সরকার সেদেশের নাগরিকদের জন্য কঠোর কোভিড বিধি চালু করেছিল। সাংহাইতে সেই কোভিড বিধি আরও কঠোরভাবে জারি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিয়ো থেকে দেখা গিয়েছে, সাংহাইয়ের বাসিন্দারা বারান্দা থেকে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিনিয়ত রাস্তায় টহল দিচ্ছেন, যাতে বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বেরোতে না পারেন। চিনের এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে, সেটাই এখন দেখার।