Bangladesh News: রোহিঙ্গা নেতা খুনে ‘কড়া পদক্ষেপে’র পথে বাংলাদেশ

Bangladesh, রোহিঙ্গদের মায়নমারে ফিরে গিয়ে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের ব্যপারে বারবার সওয়াল করতেন মহিব উল্লাহ।

Bangladesh News: রোহিঙ্গা নেতা খুনে ‘কড়া পদক্ষেপে’র পথে বাংলাদেশ
মহিবুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ছবি-ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 8:01 PM

ঢাকা: শনিবার, রোহিঙ্গা (Rohingya) নেতা মহিব উল্লাহকে (Mohib Ullah) খুনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশ মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন ওই নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনা বিশদে তদন্ত করা হবে। বুধবার, বছর চল্লিশের ওই বিশিষ্ট রোহিঙ্গা নেতা মহিব উল্লাহকে কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) উদ্বাস্তু ত্রাণ শিবিরে (Refugee Camp) গুলি করে খুন করা হয়। ২০১৭ সালের অগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মায়ানমারের প্রায় ৭ লক্ষ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কয়েকটি গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিতেন মহিব উল্লাহ।

বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন (AK Abdul Momen) জানিয়েছেন “এই খুনের ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সরকার। একজনও ছাড়া পাবে না।” নিজের বিবৃতিতে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন এই খুনের ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে। কারণ এই বিশিষ্ট রোহিঙ্গা নেতা মায়ানমারে ফিরে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন।

রোহিঙ্গদের মায়নমারে (Mayanmar) ফিরে গিয়ে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের ব্যপারে বারবার সওয়াল করতেন মহিব উল্লাহ। ২০১৭ সালে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস্ (ARPSH) প্রতিষ্ঠিা করেন মহিব উল্লাহ। এই সংগঠন রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করতো। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের (Human Rights Commission) কাছে রোহিঙ্গাদের যাবতীয় কথা তুলে ধরা ক্ষেত্রে মহিব উল্লাহর ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা করার তিনি হোয়াইট হাউস (White House) থেকেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।

২০১৯ সালের অগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের মূল ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত কুটাপালঙ্গ ক্যাম্পে (Kutapalong camp) প্রায় ২ লক্ষ শরানার্থীদের নিয়ে তিনি একটি সভা করেন। সেই বছরই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে (Reuters) দেওয়া এক সাক্ষাকারে রোহিঙ্গদের অধিকার আদায়ে তাঁর ভূমিকার কতা বলতে গিয়ে মহিব জানিয়েছিলেন আমি যদি মরে যাই তবে আমার কোনও সমস্য়া নেই। আমি আমার জীবন দিতেও প্রস্তুত।

এই হত্যাকান্ডের কারণে বাংলা দেশের রোহিঙ্গা ত্রান শিবির গুলিতে যথেষ্ট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ত্রান শিবিরে বসবাসকারী শরনার্থীদের অনেকেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে ক্ষমতা দখলের জন্যই চরমপন্থীরা এই হত্যা সংগঠিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োতে এই রোহিঙ্গা নেতার ভাই হবিব উল্লাহ জানিয়েছেন “তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কারণ রোহিঙ্গারা মহিবকে মেনে চলে। গুলি চালানোর আগে হত্য়াকারীরা তাঁর উদ্দেশে বলেছে সে রোহিঙ্গাদের নেতা হতে পারবে না এবং আগামী দিনেও রোহিঙ্গাদের কোনও নেতা থাকবে না।”

সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরানোর পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। পৃথিবীর শক্তিধর দেশ গুলিকে তিনি এই বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন West Bengal Civic Polls: পুজো মিটলেই পুরভোট বঙ্গে! ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মমতার