করোনা আবহেও সচল অর্থনীতি! রেকর্ড বিদেশি মুদ্রা আয় বাংলাদেশের
ডিসেম্বর মাসেই ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে বাংলাদেশে রেকর্ড বিদেশি মুদ্রা জমা হয়েছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইল ফলক ছুঁল বাংলাদেশ।
ঢাকা: করোনা আবহে বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু জিডিপি বেড়েছে চিনের। তবে শুধু চিন নয় বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে করোনা আবহে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশও (Bangladesh)। সেপ্টেম্বর মাসেই আমদানি ও রফতানি প্রায় সমান হয়েছিল বাংলাদেশের। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। তারপরও কমেছে আমদানি। বেশি রফতানির ফলে ক্রমাগত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে জমেছে বিদেশি মুদ্রা। এছাড়া প্রবাসীরাও দুহাত দিয়ে টাকা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশে। যার জেরে এই প্রথম বাংলাদেশের রিজার্ভে বিদেশি মুদ্রা ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেল।
ডিসেম্বর মাসেই ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে বাংলাদেশে রেকর্ড বিদেশি মুদ্রা জমা হয়েছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইল ফলক ছুঁল বাংলাদেশ। চলতি মাসের ২৯ দিনে বাংলাদেশে প্রবাসীরা ১৯১ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। বিদেশে যাতায়াতে কড়াকাড়ি হওয়ায় অবৈধ পথে টাকা আসার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যাবতীয় সব টাকাই আসছে বৈধ পথে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফুলে ফেঁপে ওঠার অন্যতম কারণ এটি, একথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রথম ৫ মাসে ৪১.৩২ শতাংশ প্রবাসী আয় বেড়েছে। এই ৫ মাসে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৯০ কোটি ৮৩ লক্ষ ৮০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন। ক্রমাগত প্রবাসী আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনা আবহে হাসিনার দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজও শক্ত করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই প্যাকেজের ফলেই বাংলাদেশ আমদানি কমিয়ে ‘আত্মনির্ভর’ হতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের জের! হংকংয়ের ১০ গণতন্ত্রপন্থীকে জেলে পুরল বেজিং
করোনা আবহে ভারতে যখন অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে তখনও বাংলাদেশ নিজেদের ঠিক রাখতে পারছে। তার অন্যতম সংযোগ রয়েছে এই বিদেশি মুদ্রা সঞ্চয়ের সঙ্গে। দক্ষিণ এশিয়ার অত্যন্ত সফল দেশ হিসাবে করোনাকালে নিজেদের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।