Bangladesh: কলকাতাতে পোষাচ্ছে না, চাই বাংলা-বিহার-ওড়িশাও! চিত হয়ে শোওয়ার ইচ্ছে হয়েছে বাংলাদেশের?
Bangladesh: প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে সোমবার। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়ার পর এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি ঢাকা। সোমবারই দিল্লি পৌঁছেছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রির।

নয়া দিল্লি: কেবল কলকাতা নয়, এবার তিনটি রাজ্য দখলের ডাক দিচ্ছে মৌলবাদীরা। বাংলা, বিহার, ওড়িশা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। অশান্ত বাংলাদেশে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভির। সোমবার ঢাকায় বিদেশ সচিব পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। তা ভেস্তে দিতেই বিএনপি-র এই উস্কানি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ নিয়ে কড়া সুরে পাল্টা ভারতকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রিজভির। পায়ের তলায় দলের রাজনৈতিক জমি তৈরি করতেই কী চড়া সুরে ভারত বিরোধিতা? জোরাল হচ্ছে সেই প্রশ্ন।
রিজভি বলেছেন, “ভারতের শাসকশ্রেণি যা করছে, তা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় আগ্রাসন ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। আপনারা বলছেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন। সংখ্যালঘু নির্যাতন বলে কী? আমরাও দাবি করব আমাদের নবাব সিরাজউদৌল্লার বাংলা-বিহার-ওড়িশা ফেরত দাও। ”
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে সোমবার। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়ার পর এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি ঢাকা। সোমবারই ঢাকা পৌঁছেছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রির। বাংলাদেশের বিদেশসচিব মুহম্মদ জশিম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে ঢাকায়। তার ঠিক আগেই এই ধরনের বক্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন. এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার চলছে, তারপর যে নির্বাচন হবে, তার সবটাই নির্ভর করবে ভারত বিরোধী আবেগের ওপর। তার কারণ শেখ হাসিনার উৎখাতের পর বাংলাদেশে যা যা ঘটছে, তাতে ভারত বিরোধিতা প্রবল। আর সেটা আঁকড়ে ধরেই রাজনৈতিক জমি পাওয়ার চেষ্টা করছেন সেদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এই ধরনের মন্তব্য, তারই একটা অংশ বলে মনে করছেন ভারতের কূটনীতিকরা।
কিন্তু গোটা বিষয়টি হাস্যকর হিসাবেই দেখছেন ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। বাংলায় পুরনো একটা প্রবাদ রয়েছে, ‘কুঁজোর ইচ্ছা চিৎ হয়ে শোয়’। অনেকেই হেয়ালি করে বলছেন, বাংলাদেশেরও যেন সেই একই সাধ!





