Bangladesh News: জয় বাংলা বলেই দেশ এগিয়ে যাবে : হাসিনা
Bangladesh News: জয় বাংলা বলেই দেশ এগিয়ে যাবে। বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে আওয়ামি লিগকে কেউ উৎখাত বা ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। এই সুরেই জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে সামনেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। সেই জন্য বিএনপি সহ একাধিক বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। তবে সেই দাবি হাসিনা খারিজ করে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না। বুধবার সন্ধেবেলা বাংলাদেশ সংসদে দাঁড়িয়ে জোড় দিয়ে এ কথা বলেন হাসিনা।
বুধবার বাংলাদেশের সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে হাসিনা আরও বলেন, নানা অপকর্মের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত সরকার ফেলে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান এ দিন হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “যারা মজুতকারী, কালোবাজারি এবং যারা বাণিজ্যিক ঋণপত্র নিয়ে দুই নম্বরি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব।” তিনি এ দিন বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমাতে সরকারের তরফে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর তা ফলপ্রসূ হওয়ায় জনগণের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা চালানোর কারণে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দামের একটা সামঞ্জস্য আনতে হয়েছে।” মূল্যবৃদ্ধির চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক ও সচল রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন,”আওয়ামি লিগ যে কথা দেয়,সেটা রাখে। জাতির পিতা স্বাধীনতা দেবেন বলেছিলেন সেটা দিয়ে গিয়েছেন। স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন। আওয়ামি লিগ সরকারে আসার পরে এই দেশের মানুষের কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা এসেছে।” বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। জয় বাংলা বলেই দেশ এগিয়ে যাবে।” শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন। বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছিলেন। সাধারণ স্কুল শিক্ষক জয়ী হয়েছিলেন। মানুষের ভোটের অধিকার মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সংবিধান মোতাবেক ১৯৭৩ সালেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়ার পর এত অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করানোর ইতিহাস বিশ্বের আর কোনও দেশে নেই।”
শেখ হাসিনা বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন,”বঙ্গবন্ধু দেশের প্রবৃদ্ধি হার ৯ শতাংশের ওপরে তুলেছিলেন। জিয়া,এরশাদ,খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে পারেনি। আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসার পরে প্রবৃদ্ধি হার ৮ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আওয়ামী লীগ যে কথা দেয়, সেটা রাখে। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিবেন বলেছিলেন সেটা দিয়ে গেছেন। স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গিয়েছিলেন।’ আওয়ামি লিগ যে প্রতিশ্রুতি দেয় সেটা পূরণ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইস্তাহার, প্রত্যকটা কাজ আমরা কিন্তু বাস্তবায়ন করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব।”