Bangladeshi Hilsa: ভারতীয় পাতে কি আর দেখা যাবে না পদ্মার ইলিশ? বন্ধ হয়ে যাবে পুরোপুরি?

export of Hilsa from Bangladesh: ভারত-সহ অন্যান্য দেশে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার আবেদন করে ঢাকা হাইকোর্টে মামলা করলেন এক আইনজীবী।

Bangladeshi Hilsa: ভারতীয় পাতে কি আর দেখা যাবে না পদ্মার ইলিশ? বন্ধ হয়ে যাবে পুরোপুরি?
এবারও পুজোর মুখে প্রচুর ইলিশ রফতানি করছে বাংলাদেশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 6:30 AM

ঢাকা: ভারতে রফতানির কারণে বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপকভাবে দাম বাড়ছে ইলিশের। এই অভিযোগ করে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার আবেদন করে, ঢাকা হাইকোর্টে মামলা করলেন এক আইনজীবী। ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ, পররাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রকের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তাদের এই ‘নিষ্ক্রিয়তা’কে অবৈধ ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের বাজারে ইলিশ বিক্রির ব্যবস্থা করার জন্য, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ সচিবকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন মামলাকারী আইনজীবী। তাঁর দাবি, ইলিশ মাছ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হলেও, বর্তমানে ইলিশ মাছের দাম একেবারে আকাশ ছোঁয়া। বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই মাছ কেনার কথা ভাবতেই পারেন না। মধ্যবিত্তরাও ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের বাজারে ইলিশের চাহিদার কথা চিন্তা না করে, ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছেন। এর ফলে স্থানীয় বাজারগুলিতে ইলিশের দাম আরও বেড়েছে। পাশাপাশি ইলিশের যা বাজারদর, তার থেকে অনেকটাই কম মূল্যে ভারতে রফতানি করা হচ্ছে।

মামলাকারী আরও দাবি করেছেন, বাংলাদেশের রফতানি নীতি অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রফতানি করা যায় না। অথচ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ অনায্যভাবে, জণগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। এই অবস্থায় ওই আইনজীবীর পরামর্শ, বাংলাদেশ সরকার যদি বিদেশিদের ইলিশের স্বাদ দিতে চান, তাহলে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন দেশেই ‘ইলিশ উৎসব’ আয়োজন করতে পারে। বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে ইলিশ মাছ উপভোগ করবেন। এমনকি, এর জন্য আসন্ন দূর্গা পুজোতেই ভারতীয়দের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই নোটিস পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে ইলিশ রফতানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি শারদীয়া উপহার হিসেবে ভারতে আরও ৫০০ টন ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তারও আগে, চলতি মাসের শুরুতেই বাংলাদেশের ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২,৪৫০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রতি কেজি ইলিশ, ১০ মার্কিন ডলার মূল্যে রফতানি করা হচ্ছে। তবে, দুই গেশের আবগারি বিভাগই ইলিশে রফতানিতে কর ছাড় দিয়েছে।