পদ্মা ধরে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ইলিশ পাচারের পরিকল্পনা, ভেস্তে দিল বিএসএফ জওয়ানরা
Bangladesh: করোনা সংক্রমণের জেরে জুলাই মাসের শুরু থেকেই বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। তা লাগু রয়েছে এখনও। তবে মৎসজীবীদের কথা মাথায় রেখে গত ২৩ জুলাই থেকেই ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে হাসিনা সরকার।
ঢাকা: চালানের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল প্রায় ২৫৭ কেজি ইলিশ মাছ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে হাতেনাতে তা আটক করল বিএসএফ। বিএসএফের ১৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত চৌকি মুর্শিদাবাদের দয়ারামপুর থেকে এই ইলিশ চালানের চেষ্টা চলছিল। তখনই তা ধরে ফেলে সীমারক্ষী রক্ষী বাহিনী। জানা গিয়েছে, সীমান্ত পথ ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই ইলিশ পাচার করা হচ্ছিল।
বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে প্রাপ্ত নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দয়ারামপুর সীমান্ত চৌকির জওয়ানরা ওই এলাকায় একটি অ্যামবুশ লাগিয়েছিল। ভোর প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ পদ্মা নদীতে একটি নৌকা দেখতে পান। তাতেই সন্দেহ হয়। ওই নৌকায় বেশ কিছু ব্যাগও ছিল। এরপরই অভিযান চালিয়ে দেখা যায় চালানের জন্য ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। চোরা কারবারীরাও ফাঁদে পড়ে গিয়েছে বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করে। নৌকা ফেলেই চম্পট দেয় তারা।
এরই মধ্যে জওয়ানরা নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ব্যাগের মুখ খুলতেই দেখেন চক চক করছে রুপালি শস্য। প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মাছ ছিল ওই ব্যাগগুলিতে। বাজেয়াপ্ত ইলিশ মাছগুলি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জলঙ্গির শুল্ক বিভাগের হাতে হস্তান্তর করা হয়। ১৪১ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার অরবিন্দ কুমার এই অভিযানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জওয়ানদের তৎপরতায় এ এ ভাবেই চোরাচালান বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি।
করোনা সংক্রমণের জেরে জুলাই মাসের শুরু থেকেই বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। তা লাগু রয়েছে এখনও। তবে মৎসজীবীদের কথা মাথায় রেখে গত ২৩ জুলাই থেকেই ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে হাসিনা সরকার। এর ফলে পদ্মা বা সাগরে যেতে আর কোনও সমস্যা নেই মৎসজীবীদের।
বাংলাদেশের ইলিশ গবেষকরাও জানিয়েছেন, জুন মাসেই নদী ও সমুদ্রে দ্রবীভূত অক্সিজেন, পিএইচ লেভেল, ক্ষার ও অ্যামোনিয়ার পরিমাণ পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে জলের মান তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল। ফলে ইলিশের প্রজনন ও মানও ভাল হওয়ারই কথা। আপাতত মৎসজীবীদের অপেক্ষা করছেন রোদ ঝলমলে আকাশের। খারাপ আবহাওয়া মুখ ফেরালেই সমুদ্রে ট্রলার নামাবেন তাঁরা। কিন্তু নিয়ম বিধি মেনে মাছ ধরার পাশাপাশি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাছ ধরার ঘটনাও আকছাড় ঘটে চলেছে পদ্মার বুকে। তবে সীমান্ত-জওয়ানরাও জাগ্রত। রুপালি শস্যের চোরা চালান রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা। আরও পড়ুন: কোভিড নমুনা সংগ্রহ নিয়ে ‘বিতর্কিত’ নির্দেশিকা উত্তর ২৪ পরগনায়, পরীক্ষায় রাশ টানতেই নির্দেশ, উঠছে প্রশ্ন