Sakib Al Hasan: ক্রিকেট থেকে রাজনীতির ময়দানে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন তুললেন সাকিব
Bangladesh Election: বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। চলতি বিশ্বকাপেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যদিও লিগ থেকেই ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এবার ক্রিকেট ময়দানের পাশাপাশি রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছেন সাকিব। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন তিনি।
ঢাকা: ক্রিকেট ময়দানে যথেষ্ট ছাপ ফেলেছেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। চলতি বিশ্বকাপেও (World cup) দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব (Sakib Al Hasan)। যদিও লিগ থেকেই ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এবার ক্রিকেট ময়দানের পাশাপাশি রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছেন সাকিব। একেবারে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে (Bangladesh Election) অংশগ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্রও তুলেছেন। তাহলে কি এবার ক্রিকেট-জীবনে ইতি টানতে চলেছেন সাকিব? এমন প্রশ্ন উঠছে।
বাংলাদেশের বর্তমান শাসকদল, আওয়ামী লিগের হয়েই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে লড়তে চলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। শনিবার আওয়ামী লিগের তরফেই একথা জানান দলের সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি জানান, এদিনই ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন সাকিব আল হাসান। তবে তিনি নিজে মনোনয়নপত্র তুলতে যাননি। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। সাকিবের ব্যক্তিগত সহকারী মনোনয়নপত্র তুলে এনেছেন। সাকিবের জন্য ঢাকা-১০ আসন ছাড়া মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ আসনেরও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সাকিব কোন আসনে লড়বেন, তা তিনি বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরই নিশ্চিত হবে। বিদেশ থেকে ফিরে এসে সাকিব নিজে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবেন বলে আওয়ামী লিগের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাকিব মাগুরার বাসিন্দা। ফলে মাগুরা-১ বা মাগুরা-২ কেন্দ্র থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুটি কেন্দ্রেরই সাংসদ বর্তমান শাসকদলের সদস্য। ঢাকা-১০ আসনের সাংসদও আওয়ামী লিগের সদস্য। ফলে সাকিব আদতে কোন কেন্দ্র থেকে লড়বেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীপদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সঙ্গে-সঙ্গে সাকিবের ক্রিকেট কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছিটকে যাওয়ায় ক্রিকেট-জীবনে ইতি টানতে চাইছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার? এমন প্রশ্নও উঠছে। যদিও রাজনীতিতে প্রবেশের সঙ্গে ক্রিকেট-কেরিয়ার শেষ হওয়ার যে সম্পর্ক নেই, তার প্রমাণ আগেই দিয়েছেন মাশরফি মোর্তাজা। তিনিও বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কও ছিলেন। ক্রিকেট কেরিয়ার যখন মধ্যগগনে, তখন তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনিও জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ভোটে জয়ী হয়ে দেশের মন্ত্রী হন। তারপরও তিনি ক্রিকেট থেকে বিদায় নেননি। বরং মন্ত্রী থাকাকালীন ক্রিকেট ময়দানে দেখা যায় মোর্তাজাকে। যদিও এটা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এবার সাকিব কী করেন, মোর্তাজার পথে হাঁটেন নাকি ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন, সেদিকেই তাকিয়ে সাকিব-অনুরাগী, ক্রিকেট মহল থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল।