Bangladesh: দাবদাহের বিদায়, কালবৈশাখীর দাপটে শুরুতেই ক্ষয়ক্ষতির মুখে সাধারণ মানুষ
Bangladesh Weather: গত তিন দিনে বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। দাবদাহের অবসানে এবার কালবৈশাখীর দাপট দেখা যাবে বলে দাবি বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদদের।
ঢাকা: গত প্রায় ২০ দিন ধরে আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরছিল। এপার বাংলার মতোই পরিস্থিতি ছিল ওপার বাংলাতেও। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল দাবদাহ। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চলছিল একটানা প্যাচপ্যাচে গরম। তবে, গত শুক্রবার, অর্থাৎ ইদের আগের দিন থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছিল। পরের দুই দিন তাপমাত্রা আরও কমেছে। রবিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়। মেঘ আর বৃষ্টির দাপটে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিদায় দাবদাহ বিদায় নিয়েছে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে কালবৈশাখীর দাপট।
‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার দুপুর থেকেই বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই ভেজা বাতাস ক্রমে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে এগিয়ে আসছে রাজধানী ঢাকার দিকে। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে সেই দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়া আর বৃষ্টির দাপট দেখা যেতে পারে। তবে আগামী দুদিনে ফের গরম কিছুটা বাড়তে পারে। বুধবার থেকে আবার বৃষ্টি বাড়তে শুরু করবে। দেখা যেতে পারে ঘন ঘন বজ্রপাতও। মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে আগামী কয়েকদিনে বজ্রগর্ভ মেঘ-সহ বৃষ্টি দেখা যেতে পারে। সোমবার সকাল থেকেই সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে ৫৩ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, কালবৈশাখী শুরু হতেই ফসল ও অন্যান্য সম্পদের ক্ষতিও হওয়া শুরু হয়েছে। রবিবার রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীতে ফসল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পাকা ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাঘাইছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের হিসেব অনুযায়ী কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে বঙ্গলতলী ও রুপকারী ইউনিয়নে প্রায় ৬০ একর জমির পাকা ও আধা পাকা ধান নষ্ট হয়েছে। বহু কৃষক তাঁদের সব ফসল হারিয়েছেন। বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়ন এলাকায় কালবৈশাখীর দাপটে প্রায় একশো বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে অনেক ঘরের টিন চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও বাড়ির পুরো চালটিই উড়ে গিয়েছে। সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অন্তত ৫০টি পরিবার ভিটেছাড়া হয়ে পড়েছে। তাদের নিরাপদ এলাকায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।