Rohingya Camp: বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে আগুন, ভস্মীভূত শতাধিক ঘর
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। সোমবার রাতে এই ঘটনায় শতাধিক ঘর পুড়ে গিয়েছে।
কক্সবাজার: ফের অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশে (Bangladesh)। এবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে (Rohingya Camp) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। সোমবার রাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় শতাধিক ঘর পুড়ে গিয়েছে। তারপর দমকল কর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত পৌনে ৯টা নাগাদ কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং চাকমারকুল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আশ্রয় শিবিরটি বাঁশ এবং প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। তারপর দমকল কর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন নেভার আগেই রোহিঙ্গাদের শতাধিক ঘর ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ-প্রশাসনের তরফে ওই শিবিরের বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে নিয়ে আসায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
এদিনের অগ্নিকাণ্ডের খবরটি নিশ্চিত করে টেকনাফের এক শীর্ষ কর্তা মহম্মদ এরফালুন হক চৌধুরী বলেন, চাকমারকুল রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একটি এনজিওর নারী কেন্দ্রে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল রাতেও লেদার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই অগ্নিকাণ্ডে ৩৯টি ঘর পুড়ে গিয়েছে। তার আগে গত ৫ মার্চ উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রায় ১৬ হাজার রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
চলতি মাসে ঢাকার বঙ্গবাজার, সুপার মার্কেট থেকে একের পর এক বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরপর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে নাশকতা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কেবল বাজার নয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরেও পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।