জন্ম শতবর্ষে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত ‘ভারতীয়দের নায়ক’ শেখ মুজিবুর
কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের লক্ষ্যে আয়োজিত হয়েছিল ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠান।
নয়া দিল্লি: সামনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ (Bangladesh) সফর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ২০২০ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ দিনই ঘোষিত হয়েছে ২০১৯ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারও। ২০১৯ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন ওমানের প্রয়াত রাজা সুলতান কাবুস বিন সৈয়দ আল সৈয়দ।
এ দিন পুরস্কার ঘোষণার সময় নরেন্দ্র মোদী বলেন, “মানবিকতা ও স্বাধীনতার বীর পুরুষ ছিলেন শেখ মুজিবুর। তিনি ভারতীয়দেরও নায়ক। তাঁর দেখানো পথেই দুই দেশের সমৃদ্ধি এসেছে।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদীর বাংলাদেশ সফরের আগে বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি সম্মানে ভূষিত করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা নমোর। সেখানে বিভিন্ন মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে হাসিনা ও মোদীর মধ্যে।
১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। মূলত মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনকে সম্মান জানাতে এই পুরস্কারে কাউকে ভূষিত করা হয়। এখন বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা এসেছেন বাংলাদেশে। সেই অনুষ্ঠানে সামিল হতে ২৬ মার্চ ঢাকা উড়ে যাবেন মোদী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবই ছিলেন প্রাণ পুরুষ। তাই তাঁকে বাংলাদেশের জাতির জনক বলা হয়।
কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের লক্ষ্যে আয়োজিত হয়েছিল ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠান। ঢাকার প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সেই অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিজে সুগা ও চিনের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে হাসিনা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন চিনের প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি চিনের স্বপ্নের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের কথাও বলেন শি জিনপিং।
আরও পড়ুন: করোনার ‘বাংলা মিউটেশন’, ধরা পড়ল ৩৪ রকমের ছদ্মবেশ