Durga Puja in Bangladesh: বাংলাদেশে বাড়ল দুর্গাপুজোর সংখ্যা, মণ্ডপে জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা
Durga Puja 2022: সরকারের পক্ষ থেকে দুর্গাপুজো ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
ঢাকা: মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মাধ্যমে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। গত দুবছর অতিমারি পরিস্থিতির জন্য় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল শারদোৎসব। এ বার করোনাভাইরাসের ভ্রুকূটি কাটিয়ে উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালি। এ রাজ্যের মতো বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর চিত্রটাও একই রকম। সেখানেও করোনার ধাক্কা কাটিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো। এ বছর সে দেশে দুর্গাপুজোর সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের পুজো উদযাপন কমিটি। সারা বাংলাদেশে পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সে দেশের রাজধানী ঢাকাতেও বেড়েছে দুর্গাপুজোর সংখ্যা।
পুজো উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর ঢাকা-সহ সারা দেশে পুজো মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। ঘরোয়া ছাড়া এ বছর সারা বাংলাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপুজো হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে এ বছর ২৪১টি পুজো মণ্ডপে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। যা গতবার ছিল ২৩৫। কোনও কোনও মণ্ডপ-মন্দিরে দেবী দুর্গার এবারের আগমন ও গমনের প্রতীকী ঘটনাসহ পৌরাণিক বিভিন্ন কাহিনি নানা আদলে ফুটিয়ে তোলার হয়েছে। দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, শনিবার ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পুজোর আনুষ্ঠানিকতা। বাংলাদেশের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেবীর বোধন। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা করা হয়। সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার গজে (হাতি) চড়ে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন, যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে। দেবী বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে, যার ফল শস্যবৃদ্ধি।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে দুর্গামণ্ডপে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ ব্য়াপারে বলেছেন, “এ বার দুর্গাপূজা ঘিরে জঙ্গি হামলার শঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য পুজো মণ্ডপগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” সরকারের পক্ষ থেকে দুর্গাপুজো ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। নিরাপত্তার বাড়তি প্রস্তুতি হিসেবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অফিসাররা সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি আর্চওয়ে গেট, মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্য আয়োজনও থাকবে। এছাড়াও, সর্বজনীন পুজো কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে।