Bangladesh News: কাজ থেকে ফিরে স্কুলছাত্রের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়েছিলেন বাবা, তারপর যা হল…
Suicide Case: সবাই মিলে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ ঝুলছে।
রংপুর: মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রংপুরে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনেকেই দেখে অভ্যস্ত, ছোট ছোট শিশুরা অনেকেই প্রতিদিন মোবাইলে গেম খেলে। মোবাইলে গেম খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১২ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। মোবাইলে গেম খেলতে না দেওয়ায় ওই স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলেই জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নীরব নামের মৃত শিশুটি ছড়ান উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। এই ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ওই শিশুটির বাবা, রাত ৮ টা নাগাদ, কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি থেকে দেখেন, শিশুটি পড়াশুনো না করে মোবাইলে গেম খেলছে। চরম ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নিজের ছেলেকে বকাবকি করেন এবং তাঁর হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়েছিলেন। বাবার এই আচরণে রেগে গিয়ে, শিশুটি ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেকক্ষণ ধরে দরজা বন্ধ থাকায়, বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকা করার পরেও কোনও সাড়াশব্দ না মেলায়, পাড়ার লোকজনকে ডাকা হয়েছিল।
সবাই মিলে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বড়বালা ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, বাবা-মার ওপর অভিমান করেই সে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের অনুরোধ মেনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই, শিশুর দেহ হস্তান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে। মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। মোবাইল গেম খেলতে না দেওয়ার কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে। অপমৃত্যুর একটি মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্ত করে দেখা হবে।”