Bangladesh News: মায়ের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বিপর্যয়, কথা বলতে পারছে না ৩ বছরের শিশু

Bus Accident: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা রাজৈর এলাকার নিজের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মেয়ে ফাতিমাকে নিয়ে নিজের বাসস্থানের দিকে রওনা দিয়েছিলেন নুজরু।

Bangladesh News: মায়ের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বিপর্যয়, কথা বলতে পারছে না ৩ বছরের শিশু
ছবি: সংগৃহীত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 5:00 PM

মাদারিপুর: মায়ের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া যে এমন বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি ৩ বছর বয়সী ফাতেমা। আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় রাস্তায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে মারা গিয়েছিল শিশুর মা। বাসের ধাক্কায় সারাজীবনের জন্য নিজের জন্মদাত্রীকে হারিয়ে নির্বাক ৩ বছর বয়সী শিশু। বাংলাদেশের এই  দুর্ঘটনায় আহত শিশুটি এখন রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর নাগাদ ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ের (Dhakar-Barishal Highway) মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার বড় ব্রিজ এলাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মায়ের নাম নুজরু বেগম (৪০)। উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় তিনি স্বামী মজিবর হাওলাদারের সঙ্গে থাকতেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা রাজৈর এলাকার নিজের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মেয়ে ফাতিমাকে নিয়ে নিজের বাসস্থানের দিকে রওনা দিয়েছিলেন নুজরু। বাস ধরার জন্য তাঁরা ব্রিজ এলাকায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় ঢাকার থেকে বরিশালগামী সকুর পরিবহণের যাত্রীবোঝাই বাস, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা নুজরু ও ফাতিমাকে ধাক্কা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে নুজুরুর মৃত্যু হয়েছিল। ৩ বছরের ফাতেমাও বাসের ধাক্কায় আহত হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল।

হাসপাতালের পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, বাস দুর্ঘটনার ফলে ফাতেমার বাঁ হাতা ভেঙে গিয়েছে এবং নাক ও মুখে আঘাত লেগেছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন শিশুটি এখন স্থিতিশীল তবে সে কথা বলতে না পারায় উদ্বেগে চিকিৎসকরা। রাজৈর থানাক পুলিশ আধিকারিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাসটি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। বাসের চালককে ধরার জন্য হাইওয়ের পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের আশা ঘাতক বাসের চাললকে দ্রুত ধরে ফেলা সম্ভব হবে।