Vaccination in Bangladesh: ১২ বছর হলেই মিলবে টিকা, ৪০ বছরে বুস্টার ডোজ়

Vaccination in Bangladesh: বাংলাদেশে টিকাকরণ আরও এক ধাপ এগোচ্ছে। ৪০ বছর বয়সে দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ়।

Vaccination in Bangladesh: ১২ বছর হলেই মিলবে টিকা, ৪০ বছরে বুস্টার ডোজ়
করোনা ভাইরাসের টিকা। প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 10:21 PM

বাংলাদেশ : দেশে করোনা মহামারির প্রকোপ রুখতে টিকাদানের বয়সসীমা কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে অধিকসংখ্যক মানুষকে সুরক্ষা দিতে টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণের বয়সসীমা এবার ৫০ থেকে কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। এদিকে অধ্যাপক ডা. নাজুমল ইসলাম আলাদাভাবে জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্তদের আইসোলেশন ও কোয়ারিন্টনের সময় ১০ দিন করা হয়েছে। কর্মস্থলে ফিরতে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে না।

দেশের ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে। সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এমনটাই বললেন সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের টিকা দেওয়ার টার্গেট সাড়ে ১২ কোটি। ইতিমধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আরও আড়াই কোটি মানুষ টিকার বাইরে রয়েছেন।

শীঘ্রই ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে শুধু পড়ুয়াদের টিকা কেন্দ্রে এই ১২ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া হত। এখন সেটা সবার জন্যই খুলে দেওয়া হবে। মন্ত্রী জানান, অনেকেই হয়তো স্কুলে আসে না, তাদের টিকার আওতায় আনতে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক শিশু আছে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে, সে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় তাহলে ফোন নম্বর দিয়েও টিকা নিতে পারবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে এর আগে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি সব ছাত্র-ছাত্রীকে টিকা দিতে কর্মসূচি নেয় স্বাস্থ্য দফতর। এর আওতায় এখনও পড়ুয়াদের টিকা দেওয়ার কাজ অব্যাহত আছে। এবার শিক্ষার্থী ছাড়াও ১২ বছর বয়সি যে কেউ এবার এই টিকা নিতে পারবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণের বয়সসীমা আরও কমানো হয়েছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এবার সেটা কমিয়ে ৪০ করা হচ্ছে। বয়স ৪০ হলেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি টিকাদানের এক বছর পূর্তি হচ্ছে বাংলাদেশে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রমও চলবে সমানভাবে। সব মিলিয়ে টিকাকরণে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন : Omicron Sub- Variant BA.2: ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে দেড় গুণ দ্রুত, ছোটদের নিয়ে থাকছে চিন্তা

আরও পড়ুন : WHO on ‘NeoCOV’: মানুষের জন্য আদৌ ঝুঁকির কারণ হতে পারে ‘নিওকোভ’? কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা