Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: চিনের পাতা ফাঁদেই পা দিল বাংলাদেশ? বিপদ বাড়ালেন ইউনূসই, সাড়ে সর্বনাশ হল বলে….

China's Debt Trap: জাহেদ উর রহমান মহম্মদ ইউনূসের এই চিন সফর নিয়ে বলেন, "এতে উচ্ছসিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমি মনে করি ইউনূস সরকারের আরও অনেক কিছু করার ক্ষমতা ছিল, তার তুলনায় অনেক কম করেছেন।"

Bangladesh: চিনের পাতা ফাঁদেই পা দিল বাংলাদেশ? বিপদ বাড়ালেন ইউনূসই, সাড়ে সর্বনাশ হল বলে....
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মহম্মদ ইউনূস।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2025 | 7:09 PM

ঢাকা: চিন সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। বৈঠক করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। এই নিয়ে হইচই বাংলাদেশে। উচ্ছ্বাসের শেষ নেই, প্রেস সচিবও বলছেন, দারুণ সফল হয়েছে এই বৈঠক। কিন্তু বাংলাদেশের অন্দরেই তৈরি হয়েছে এক চোরা স্রোত। জিনপিং-ইউনূসের এই বৈঠক নিয়ে নেতিবাচক সুর শোনা গেল।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান মহম্মদ ইউনূসের এই চিন সফর নিয়ে বলেন, “এতে উচ্ছসিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমি মনে করি ইউনূস সরকারের আরও অনেক কিছু করার ক্ষমতা ছিল, তার তুলনায় অনেক কম করেছেন।”

চিনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সমঝোতা খুবই সাধারণ বিষয়। পাঁচটি যৌথ ঘোষণা হয়েছে। প্রেস সচিব বলেছেন যে অত্যন্ত সফল আলোচনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশে চিনা উৎপাদন বাড়ানো ও ঋণের সুদের হার হ্রাস। ২.১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চিন। ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে মঙ্গলা বন্দর উন্নয়নের জন্য।”

তবে এই টাকা কি আদৌ পাবে বাংলাদেশ? আর টাকার প্রলোভনে পড়ে বিপদ ডেকে আনছে না তো? চিনের ঋণের ফাঁদ নিয়ে সতর্ক করে জাহেদ উর রহমান বলেন, “চিনের ঋণ আদতে খুব কমই আসে। শেষ হাসিনার সময়েও আমরা বড় বড় ঋণের কথা শুনেছি কিন্তু ৯ বছরে প্রতিশ্রুতি অর্থের মাত্র ২৫ শতাংশ এসেছে। ২০২৮ সাল পর্যন্ত চিনে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বাংলাদেশ এখনও চিনে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানির মার্ক ছুতে পারেনি। ফ্রি ট্যারিফ পেয়েও লাভ হয়নি। ইউরোপ-আমেরিকার মতো সুবিধা এটা নয়। সেখানে জামাকাপড় রফতানি করা যায়। চিনের ক্ষেত্রে তা নয়।

চিন কীভাবে ঋণের ফাঁদে ফাঁসায়, তা নিয়ে বলেন, “চিনের ঋণে গ্রেস পিরিয়ড পাওয়া গেলেও ফান্ড পেতেই আড়াই বছর সময় লেগে যায়। চিনও রাজি হয়েছিল ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছরে বাড়ানো হবে। কিন্তু চিন এবারও রাজি হয়নি।”

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও চিনকেই দুষেছেন জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সঙ্কট আসলে চিনের জন্য হয়েছে। চিন ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সঙ্গে চুক্তি করেছিল যে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে হবে। তার বদলে চিন হাসিনাকে সাহায্য করে। চিন জুন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। এখন রাখাইল প্রদেশ আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। চিন এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারত।”

তিস্তা ইস্যু নিয়ে কেন ইউনূস সরকার সওয়াল করল না, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন। বলেন, “চিনকে মঙ্গলা বন্দর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিন বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিল। নিজে বন্দর করছে, সমুদ্রে স্ট্রিং অব পার্লস তৈরি করতে চাইছে। শেখ হাসিনা জানুয়ারি মাসে ভারতকে মঙ্গলা পোর্ট দেওয়ার কথা বলেন। চিন যে মঙ্গলা বন্দরে বিনিয়োগ করবে, এটা নতুন কিছু নয়। এতে ক্রেডিট নেওয়ার কিছু নেই। তিস্তা নিয়ে কেন কথা হল না। বিএনপির নেতা যখন চিনে গিয়েছিলেন, তখনও তিনি তিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে কথা বলেছিলেন। আসলে সরকার চাইছে না। প্রধান উপদেষ্টা ভারতে যেতে চেয়েছেন, সেটা ভারত খারিজ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে অনেক ভারতীয় রয়েছে বলেই হয়তো। চিনের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।”