COVID-19 in China: শিশুদের জামাকাপড় থেকেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝেই নতুন ভয় চিনে

COVID-19 in China: একাধিক চিনা বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানিয়েছে যে, তারা অনলাইন থেকে কোনও জিনিস অর্ডার করলে এবং সেই পার্সেল নেওয়ার পরই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।

COVID-19 in China: শিশুদের জামাকাপড় থেকেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝেই নতুন ভয় চিনে
অনলাইনে আসা প্যাকেজ থেকেও ছড়াচ্ছে করোনা? প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2021 | 4:00 PM

বেজিং: দুই বছর পূরণ হতে চলল করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। বছরের শেষ ভাগে এসে চিনে (China) আবারও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মেলায় একাধিক শহর ও প্রদেশে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন উদ্বেগ। শিশুদের জামাকাপড় থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বলেই সন্দেহ চিনা প্রশাসনের।

করোনার দাপটের মাঝেও কিছুটা উৎসবের মেজাজেই রয়েছেন চিনের বাসিন্দারা। বছর শেষের আগে বিভিন্ন শপিংমল থেকে শুরু করে অনলাইন মাধ্যমে জামাকাপড় সহ অন্যান্য সামগ্রীর উপর ব্যাপক ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ফলে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এদিকে, জামা কাপড় বা অন্যান্য জিনিসপত্র যে পার্সেলে (Percel) করে আসছে, তা থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্প্রতিই চিনের হুবেই (Hubei) প্রদেশে শিশুদের জামাকাপড় তৈরির একটি কারখানায় তিন কর্মী করোনা আক্রান্ত হন। এরপরই প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় ১২০০ মাইল দূরেও কেউ যদি ওই সংস্থা থেকে জিনিস কিনে থাকেন বা পার্সেলের সংস্পর্শে কোনওভাবে আসেন, তবে তারা যেন অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করান। গুয়াংশি প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এটি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই একটি প্রক্রিয়া।

বেজিংয়ের প্রতিবেশী হেবেই প্রদেশেও প্রশাসনের তরফে ৩ হাজারেরও বেশি জামাকাপড়ের প্যাকেজ পরীক্ষা করা হয়েছে করোনা সংক্রমণের ভয়ে। শিংজি, সেনজ়ে ও জিনঝাউ প্রদেশে ইতিমধ্যেই পার্সেল ডেলিভারি ব্য়বস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত পার্সেলগুলি বিগত এক সপ্তাহের মধ্যে এসেছিল, সেগুলিকেও পরীক্ষা করা হয়েছে, যদিও কোনও রিপোর্টই পজেটিভ আসেনি।

এ দিকে, একাধিক চিনা বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানিয়েছে যে, তারা অনলাইন থেকে কোনও জিনিস অর্ডার করলে এবং সেই পার্সেল নেওয়ার পরই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। চিনের স্বাস্থ্য কমিশন যে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সকলের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখে, সেই অ্যাপেও পার্সেল নেওয়ার পরই ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্য স্টেটাস সবুজ থেকে হলুদ হয়ে যাচ্ছে, যে কারণে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।

বিদেশ থেকে যে সমগ্র জিনিস আমদানি করা হয় চিনে, সেগুলিকেও পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেমন ফ্রোজ়েন খাবার বা মাছ, মাংস থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত খাবার, যা কিছুই বিদেশ থেকে আসছে, তা আগে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে সমস্ত দোকানে ওই খাবারগুলি যাচ্ছে, সেখানেও নিয়মিত স্যানিটাইজ় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনও পার্সেল বা সামগ্রী নেওয়া ও খোলার সময় মাস্কের পাশাপাশি গ্লাভস ব্যবহারের অনুরোধও করা হয়েছে।

বেজিং-এক স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র চাওয়াং ও হাইদিয়ানে ১২ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে সম্প্রতি। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ বড় অংশ জুড়ে ছড়িয়েছে করোনার জাল। তাই সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। একাধিক আবাসন সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহু স্কুল-অফিস।

করোনার এই নতুন করে সংক্রমণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই হচ্ছে বলে মনে করছেন সে দেশের স্বাস্থ্য কর্তারা। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগামিদিনে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে একদল স্থানীয় পর্যটকের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। উত্তর চিনেও প্রায় ১০ হাজার মানুষকে গৃহবন্দি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগেই।  বাড়তে থাকা উদ্বেগের মধ্যে চিনের একাধিক প্রদেশে গণ হারে করোনা পরীক্ষা করানো শুরু হয়েছে।