মাথার উপর ভয়ঙ্কর বিপদ, যে কোনও মূহুর্তে পৃথিবীপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে চিনা রকেটের টুকরো!

এই প্রথম নয়, গত বছরও একই বিপদ ঘটিয়েছিল চিন। ভাগ্যক্রমে রকেটের ভাঙা টুকরো আটলান্টিক মহাসাগরে ভেঙে পড়েছিল। সেই সময়ও চিনকে সতর্ক করা হয়েছিল নাসার তরফে।

মাথার উপর ভয়ঙ্কর বিপদ, যে কোনও মূহুর্তে পৃথিবীপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে চিনা রকেটের টুকরো!
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 03, 2021 | 11:25 AM

ওয়াশিংটন: মহাকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে রকেট, যে কোনও মূহুর্তে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে সেই রকেট। ২১ টনের সেই রকেট যেখানেই ভেঙে পড়বে, সেখানেই সৃষ্টি হতে পারে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির। এই ব্যর্থ অভিযানের পিছনে দায়ী চিন।

সূত্র অনুযায়ী, ২৩ এপ্রিল, বুধবার নিজেদের তৈরি নতুন স্পেস স্টেশন থেকে লং মার্চ ৫বি রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে সমুদ্রে নির্ধারিত জায়গায় না পড়ে রকেটটির মধ্যাংশ বা কোর পৃথিবীর চারপাশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুরতে থাকে।

মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে রকেশের এই অংশটি, এমনটাই জানিয়েছেন চিনের মকাকাশ গবেষণার বিষয়ে প্রতিবেদন লেখক তথা সাংবাদিক অ্যান্ড্রু জোনস।

তবে রকেটের অংশ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডোয়েল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পৃথীবীর চারপাশে ঘুরপাক খাওয়া নানা বস্তু নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, অনিয়ন্ত্রিত ওই রকেট পৃথিবীর অভ্যন্তরে পুনরায় প্রবেশ করতে পারবে না। ১৯৯০ সালের পর থেকে ১০ টনের ব্শি ওজনের কোনও বস্তুই কক্ষপথ থেকে ফের ভূপৃষ্ঠে প্রবেশ করতে পারেনি।”

জানা গিয়েছে, রকেটটি ১০০ ফিট লম্বা ও ১৬ ফিট চওড়া। রকেটটির মাঝের অংশ, যা বর্তমানে মহাকাশে ভাসছে, তারই ওজন ২০ টন। যদি রকেটের “কোর” অংশটি পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রবেশ করে, তবে বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করা মাত্র উচ্চগতির জন্য আগুন লেগে বিস্ফোরণ হতে পারে। পৃথিবীর ৭০ ভাগই জল হওয়ায় রকেটের ভাঙা টুকরো সমুদ্রে পৃষ্ঠে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকলেও যদি তা ভূপৃষ্ঠে পড়ে, তবে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রে পড়লেও তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের উপরও প্রভাব পড়তে পারে রকেটে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য বা অন্যান্য বস্তু থেকে।

চিনের প্রতিবেশী দেশ হলেও অনেকটাই সুরক্ষিত ভারত। কারণ রকেটটি যে পথ ধরে পৃথিবীর চারপাশে পাক খাচ্ছে, তা নিউইয়র্ক, মাঠিক উপরে। সুতরাং যদি রকেটটি ভেঙে পড়ে, তবে এই অঞ্চলগুলি উপরই পড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।

চিনের ব্যর্থ রকেট উৎক্ষেপণ এই প্রথম নয়

চিন এর আগেও ২০২০ সালের মে মাসে লং মার্চ ৫-বিকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছিল। রকেটের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করতে এরমধ্যে একটি প্রোটোটাইপের ব্যবহারও করা হয়েছিল। সেই রকেটটিরও কোর স্টেজ উৎক্ষেপণের ছয়দিন পর আটলান্টিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ে। সেই সময় নাসার তরফেও চিনের এই অসুরক্ষিত রকেট উৎক্ষেপণকে অতি বিপজ্জনক বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ১৬ দিন পর বাংলাদেশে উড়ল আন্তর্জাতিক বিমান, জারি একগুচ্ছ নিয়ম