Rishi Sunak & Sajid Javid Resigns: ভরসা নেই প্রধানমন্ত্রী বরিসের উপরে, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন ঋষি সুনক ও সাজিদ জাভেদ
Rishi Sunak & Sajid Javid Resigns: অর্থমন্ত্রীর ইস্তফার কয়েক মিনিট পরই আসে দ্বিতীয় ধাক্কা। ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদও জানান, তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন।
লন্ডন: জল্পনা ছিল বরিসের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রথমেই থাকতে পারেন তিনি, কিন্তু হঠাৎ বদলে গেল সব। ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। শুধু তিনিই নন, কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই ইস্তফা দেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ(Sajid Javid)-ও। একইসঙ্গে দুই মন্ত্রীর জোড়া ইস্তফায় আলোড়ন শুরু হয়েছে ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) উপরে আস্থা হারিয়েই ইস্তফা দিয়েছেন দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন মন্ত্রী। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখ না খুললেও, নতুন অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম ইতিমধ্যেই তিনি ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবারই টুইটে মন্ত্রীপদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত হলেও, ঋষির টুইটে কিছুটা ক্ষোভের আভাস মিলেছে। তিনি টুইটে লেখেন, “ব্রিটেনের জনগণ আশা করেন, দেশের সরকার দক্ষতা সহকারে ও যথাযথ ভাবে পরিচালিত হবে। আমি জানি এটাই হয়তো আমার শেষ মন্ত্রিত্ব, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি সরকারের কয়েকটি বিষয়ে মান বজায় রাখা জরুরি। সেই কারণেই আমি পদত্যাগ করছি।” প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো ইস্তফাপত্রও টুইটে শেয়ার করেন ঋষি সুনক।
The public rightly expect government to be conducted properly, competently and seriously.
I recognise this may be my last ministerial job, but I believe these standards are worth fighting for and that is why I am resigning.
My letter to the Prime Minister below. pic.twitter.com/vZ1APB1ik1
— Rishi Sunak (@RishiSunak) July 5, 2022
অর্থমন্ত্রীর ইস্তফার কয়েক মিনিট পরই আসে দ্বিতীয় ধাক্কা। ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদও জানান, তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন। টুইট করে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন সাজিদ জাভেদ। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো ইস্তফাপত্রও শেয়ার করেন তিনি টুইটারে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর থেকে দলের সদস্যরাই যে আস্থা হারাচ্ছেন, তা দুই মন্ত্রীর ইস্তফার পরই আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। কোনওমতে মুখরক্ষা হয়েছিল আস্থা ভোটে। মাস ঘুরতে না ঘুরতেই এবার জোড়া মন্ত্রীর ইস্তফার ধাক্কা। ঋষি সুনক ও সাজিদ জাভেদের ইস্তফা নিয়ে মুখ খোলেননি বরিস জনসন। শুধু বিশ্বস্ত দুই মন্ত্রীর জায়গায় অপর দুইজনের নাম ঘোষণা করেছেন নতুন মন্ত্রী হিসাবে। জানা গিয়েছে, ঋষি সুনকের জায়গায় নতুন অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন নাদিম জাহাউই। এর আগে তিনি ব্রিটেনের শিক্ষা সচিব পদে ছিলেন। অন্যদিকে,সাজিদ জাভেদের পরিবর্তে নতুন স্বা্স্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে।
প্রসঙ্গত, পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত বরিস সরকার। নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবেই অস্বস্তিতে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত জুন মাসেই কনজারভেটিভ পার্টির কমপক্ষে ৫৪ জন সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের ডাক দেন। যদিও সেই আস্থাভোটে জিতে মুখরক্ষা করেন বরিস জনসন। তবে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই জোড়া পদত্যাগের ধাক্কা। তবে কি আস্থা হারাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? এই নিয়েই তুঙ্গে তরজা।