Decathlon Name Change Offer: বদলেছে নাম, ক্রেতাদের থেকে পুরনো জিনিস কিনে উল্টো পথে হাঁটছে ডিক্যাথলন

Nolhtaced News: যাঁরা আগে ডিক্যাথলনের পণ্য ব্যবহার করেছেন তাঁরা তাঁদের সেই ব্যবহৃত জিনিস ডিক্যাথলনেই পুনরায় বিক্রি করে দিতে পারবেন যাতে, পরবর্তীতে ডিক্যাথলন এই পণ্য মেরামত করে আবারও বিক্রি করতে পারে। ডিক্যাথলন এই সমস্ত পণ্য ক্রেতাদের থেকে নেওয়ার পরিবর্তে তাদের দু'বছরে জন্য বৈধ ভাউচার দিচ্ছে।

Decathlon Name Change Offer: বদলেছে নাম, ক্রেতাদের থেকে পুরনো জিনিস কিনে উল্টো পথে হাঁটছে ডিক্যাথলন
ছবি - ডেক্যাথলন বেলজিয়াম
Follow Us:
| Updated on: Oct 19, 2022 | 4:52 PM

ব্রাসেলস (বেলজিয়াম): একপ্রকার নিঃশব্দ বিপ্লবই বলা যায়। হঠাৎই নাম বদলে ফেলল ফেঞ্চ ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা ডিক্যাথলন (Decathlon)। না ভারতের ঘটনা নয়, বেলজিয়ামের ৩টি শহর এভেরে (Evere), নামুর (Namur) এবং ঘেন্ট-এ (Ghent) ঘটেছে এই ঘটনা। নতুন নাম নলহটাকেড (Nolhtaced) আসলে Decathlon-কেই উল্টো দিক থেকে লেখা। নতুন এই নাম শুধুমাত্র ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে এমনটা নয়, এই তিন শহরের শোরুমের বোর্ডও বদলে দিয়েছে তারা।

View this post on Instagram

A post shared by Decathlon Belgium (@decathlonbe)

কিন্তু হঠাৎ নিজেদের নাম কেন বদলে ফেলল ডিক্যাথলন? আসলে এই ফ্রেঞ্চ কোম্পানির উদ্দেশ্য নাম বদলের মাধ্যমে ‘রিভার্স সেলিং’য়ের (Reverse Selling) প্রচার করা। অর্থাৎ, যাঁরা আগে ডিক্যাথলনের পণ্য ব্যবহার করেছেন তাঁরা তাঁদের সেই ব্যবহৃত জিনিস ডিক্যাথলনেই পুনরায় বিক্রি করে দিতে পারবেন যাতে, পরবর্তীতে ডিক্যাথলন এই পণ্য মেরামত করে আবারও বিক্রি করতে পারে। এর ফলে, পরিবেশে মানুষের পরিত্যাগ করা বর্জ্য পদার্থের পরিমাণও কমবে। ডিক্যাথলন বেলজিয়াম এই ব্যাপারে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, “আমাদের মূল লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব পণ্য পুনর্ব্যবহার করে পরিবেশের উপর আমাদের প্রভাব কমিয়ে আনা। ডিক্যাথলনের সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য অর্থনৈতিকভাবে কম ভাগ্যবান উপভোক্তাদেরও কম দামে ভাল ক্রীড়া সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে”। যদিও তারা এটাও জানিয়ে দিয়েছে, অন্তর্বাস, সাঁতারের পোশাক, মোজা বা হেলমেটের মতো পণ্য ডিক্যাথলন ফেরত নেবে না।

এই নাম বদলের ৭ দিন আগে ডিক্যাথলন বেলজিয়াম তাদের ইনস্টাগ্রাম পেজে এই পরিবর্তনের একটা আভাস দিয়েছিল। তারা পোস্ট করে লিখেছিল একটি বড় পরিবর্তন আসছে। সঙ্গে লেখা ছিল ‘DENUT YATS!’ যা আসলে ‘STAY TUNED!’-কে উল্টো দিক থেকে লেখা। ডিক্যাথলন এই সমস্ত পণ্য ক্রেতাদের থেকে নেওয়ার পরিবর্তে তাদের দু’বছরে জন্য বৈধ ভাউচার দিচ্ছে। তারা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা প্রায় ২৬ হাজার পণ্য সংগ্রহ করে ফেলেছে যার পরিবর্তে তারা প্রায় ৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ২২০ টাকার ভাউচার বিলি করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, তাদের এই পরিবর্তিত নাম আগামী একমাস থাকবে। তারপর তারা আবার তাদের পুরনো নামে ফিরে যাবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে ফ্রান্সের লিল শহরে (Lille) মিশেল লেকলেয়ারের (Michel Leclercq) হাত ধরে ডিক্যাথলনের পথচলা শুরু হয়। আরও প্রায় এক দশক পর তারা জার্মানি (Germany), বেলজিয়াম (Belgium), স্পেন (Spain), ইটালি (Italy) সহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ব্যবসার পরিধি বিস্তার করে। ভারতে ডিক্যাথলন আসে ২০০৯ সালে। বর্তমানে গোটা বিশ্বে তাদের ১৬০০-এর বেশি রিটেল স্টোর রয়েছে, যার মধ্যে ভারতেই রয়েছে ১০০-এর বেশি।