Elon Musk: ‘অফিস আসার ইচ্ছা না করলে চাকরি ছাড়ুন’, বাড়ি থেকে কাজে আর সায় নেই বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তির
Work From Home: ইমেলে বিস্তারিত ভাবে অফিস আসা নিয়ে নিজের মনোভাব টেসলার কর্মীদের জানিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, “যাঁরা বাইরে থেকে কাজ করতে চাও, তাঁদের সপ্তাহে ন্যূনতম ৪০ ঘণ্টা অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে, নাহলে টেসলা ছাড়তে হবে।”
নিউইর্য়ক: বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি আর বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করা পছন্দ করছেন না। সম্প্রতি নিজের সংস্থার কর্মীদের একটি ইমেল করেছেন। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অফিসের বাইরে থেকে কাজ করা গ্রহণযোগ্য হবে না। অর্থাৎ কর্মীদের অফিস আসতে হবে। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত কর্মীদের অফিস আসার ইচ্ছা করছে না, তাঁদের সংস্থা ছেড়ে দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। টেসলা অধিকর্তা ইলোন মাস্কের এমনই একটি ইমেলের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্য়মে। সেই ইমেলই বুঝিয়ে দিচ্ছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্য়াপারে এখন কী মত পোষন করছেন বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি।
ইলোন মাস্ক ওই মেলটি করেছেন তাঁর সংস্থা টেজলার কর্মীদের। ইমেলের সাবজেক্টে লেখা রয়েছে, “অফিসের বাইরে থেকে কাজ গ্রহণীয় হবে না।” ইমেলে বিস্তারিত ভাবে অফিস আসা নিয়ে নিজের মনোভাব টেসলার কর্মীদের জানিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, “যাঁরা বাইরে থেকে কাজ করতে চাও, তাঁদের সপ্তাহে ন্যূনতম ৪০ ঘণ্টা অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে, নাহলে টেসলা ছাড়তে হবে।” ইমেলে ন্যূনতম শব্দটির উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন টেসলার মালিক। কারখানায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অফিসে থাকার ৪০ ঘণ্টার সময়সীমা অনেকটাই কম বলে, স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
তবে জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে অফিসের বাইরে থেকে কাজ করার সুযোগ তিনি কর্মীদের দেবেন বলে জানিয়েছেন। কোন পরিস্থিতির সাপেক্ষে কাকে এই সুযোগ দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন বলে জানিয়েছেন মাস্ক। অফিসে উপস্থিত বলতে তিনি টেসলার সদর দফতরে উপস্থিত থাকার বলেছেন। ইমেলে এ ব্যাপারে তিনি লিখেছেন, “আরও বলছি, ‘অফিস’ বলতে আমি টেসলার সদর দফতরের কথা বলছি। দূরের কোনও শাখার কথা বলছি না। নিজের কর্তব্যের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এ রকম কোনও শাখায় বসে থাকা চলবে না।”
টেসলা কর্তার এই কড়া ইমেলে কিছুটা অবাকই হয়েছেন নেটিজেনরা। আসলে টুইটারে মাস্ককে যতটা উদার, খোলামেলা স্বভাবে নেটিজেনরা পেয়ে থাকেন, কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এই বার্তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া স্বভাবের সঙ্গে মেলাতে পারছে না নেটদুনিয়া। তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে মাস্কের অফিসের স্বভাব যে পুরোপুরি মেলে না এ কথা আগে জানিয়েছিলেন সিলিকন ভ্যালির এক উদ্যোগপতি। তিনি মাস্কের ‘কড়া’ মনোভাবের একটি গল্প নেটিজেনদের সামনে এনেছিলেন। তখন জানা গিয়েছিল, মাস্ক একদিন দেখেন এক দল ইন্টার্ন ভিড় করে কফির লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সে সময় তাঁদের কাজ থেকে ছাঁটাইয়ের হুমকিও নাকি দিয়েছিলেন মাস্ক। ইন্টার্নদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল, এ রকম আচরণ ভবিষ্যতে দেখলে তাঁর সংস্থা থেকে বের করে দেবেন। বিষয়টি দেখভালের জন্য অফিসের ওই অংশে সিসিটিভ ক্যামেরাও বসানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ওই উদ্যোগপতি।