England: ডিকি থেকে বেরিয়ে লম্বা একমাথা চুল, গাড়িতে ‘লাশে’র খবর পেয়ে ছুটে এল পুলিশ, কিন্তু…
England: পুলিশ অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর গাড়ির কাছে যেতেই ভুল ভাঙল দুই পক্ষেরই। ওই পুলিশ অফিসারও সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে গেলেন, আর হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন টোরিয়াও। কিন্তু, কী ছিল তাঁর গাড়ির পিছনের ডিকিতে, যা দেখে রাস্তার লোকজন থেকে শুরু করে তাঁর প্রতিবেশিরাও মনে করেছিলেন, তাঁর গাড়িতে কারও লাশ লুকানো থাকতে পারে?
লন্ডন: আচমকা বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার টোরিয়া টাউনসেন্ড। তিনি তো কিছু করেননি, তাহলে পুলিশ কেন? পুলিশ কর্তা জানান, তাঁরা খবর পেয়েছেন তাঁর গাড়িতে লাশ লুকানো আছে। টোরিয়া তো আকাশ থেকে পড়েছিলেন, তাঁর গাড়িতে লাশ! তারপর পুলিশ অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর গাড়ির কাছে যেতেই ভুল ভাঙল দুই পক্ষেরই। ওই পুলিশ অফিসারও সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে গেলেন, আর হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন টোরিয়াও। কিন্তু, কী ছিল তাঁর গাড়ির পিছনের ডিকিতে, যা দেখে রাস্তার লোকজন থেকে শুরু করে তাঁর প্রতিবেশিরাও মনে করেছিলেন, তাঁর গাড়িতে কারও লাশ লুকানো থাকতে পারে?
আসলে লোকজন দেখেছিলেন ওই টোরিয়ার গাড়ির ডিকি থেকে বেরিয়ে আছে কারও একটা চুল। বেশ লম্বা, মহিলাদের চুলের মতো। সম্প্রতি টোরিয়া একটি সিকিওরিটি ক্যামেরার ফুটেজ শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ অফিসারটি তাঁর বাড়ি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। টোরিয়াকে অভিবাদন জানিয়ে ওই অফিসার প্রশ্ন করেন, তিনি হেয়ার স্টাইলিস্ট কিনা?” প্রশ্ন শুনে চমকে উঠলেও, রসিকতা করে পরিস্থিতি হালকা করতে চেয়েছিলেন টোরিয়া। কিন্তু, পুলিশ অফিসারটি সেই রসিকতায় অংশ নেননি। তিনি জানান, “আপনার ডিকির বাইরে কারও একটা চুল ঝুলছে।” তিনি টোরিয়াকে তাঁর গাড়ির চাবি আনতে বলেছিলেন।
টোরিয়া দৌড়ে বাড়ির ভিতর থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে ফিরে এসেছিলেন। তারপর দুজন মিলে গাড়ির কাছে যান চুলের রহস্য ভেদ করতে। তারপর, ডিকিটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার তো হেসে গড়িয়ে পড়ার উপক্রম। কী ঘটেছিল? তিনি জানিয়েছেন, আসলে ওই দিন তিনি হেয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্টে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, যেতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। ফলে, ক্লিনিকে পৌঁছে তিনি কোনও রকমে তাঁর পরচুলা খুলে ডিকিতে ফেলে দিয়েছিলেন। কারপর ডিকিটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি যে ডিকির দরজার ফাঁক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে ঝুলছে, তা তিনি লক্ষ্যই করেননি। রাস্তায় বহু মানুষ তাঁর গাড়ির পিছন দিকে অবাক হয়ে তাকাচ্ছিল। তিনি বুঝতেই পারেননি, কেন সবাই তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। পুলিশ ও অন্যান্য সকলের বিভ্রান্তি দূর হওয়ায় খুশি টোরিয়া। প্রতিবেশিরা পুলিশে ফোন করাতেও তাঁর খারাপ লাগেনি। কারণ, টোরিয়া জানিয়েছেন, সমাজের মানুষ যে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তা এই ঘটনায় স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে।