Facebook: শীঘ্রই বদলে যাবে ফেসবুকের নাম! আগামী সপ্তাহেই হতে পারে ঘোষণা

Facebook New Name: শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, এবার মেটাভার্সের ওপর জোর দিতে চাইছে ফেসবুক।

Facebook: শীঘ্রই বদলে যাবে ফেসবুকের নাম! আগামী সপ্তাহেই হতে পারে ঘোষণা
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 12:38 PM

সানফ্রান্সিসকো : কিছুদিন আগেই ও প্রযুক্তিগত গোলোযোগের কারণে শিরোনামে এসেছিল সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) সংস্থা ফেসবুক (Facebook)। এ বার সংস্থার নামই বদলে ফেলতে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই নতুন নামের কথা ঘোষণা করতে পারেন ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। ফেসবুক নামে শুধুমাত্র একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সংস্থার যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এই সংস্থার অধীনে রয়েছে একাধিক প্ল্যাটফর্ম। সে জন্যই সম্ভবত এবার নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করার কথা ভাবছে ফেসবুক।

আগামী সপ্তাহে ২৮ অক্টোবরে সংস্থার একটি কনফারেন্স রয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই বৈঠকেই নতুন নামের বিষয়ে আলোচনা করবেন ফেসবুকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। তবে সংস্থার নাম বদলালেও সম্ভবত ফেসবুক অ্যাপের নাম বদলাবে না। নতুন যে নামে সংস্থা আত্মপ্রকাশ করবে তার অধীনে একটি অ্যাপের নাম হয়ে থাকবে ফেসবুক। মনে করা হচ্ছে, সংস্থার অধীনে যেহেতু এখন ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তাই সংস্থার নাম ফেসবুক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় বলেই মনে করছেন উচ্চপদস্থ কর্তারা। ঠিক যেমন গুগলের ক্ষেত্রে মূল সংস্থার নাম হিসেবে রয়েছে গুগল আলফাবেট, সে ভাবেই নাম বদলাতে চাইছে ফেসবুক।

যদিও ফেসবুকের তরফ থেকে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন কোনও ধরনের গুজব সম্পর্কে মন্তব্য করবেনা ফেসবুক। এর আগে গত জুলাই মাসে মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন, তিনি চাইছেন ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থা থেকে একটি মেটাভার্স কোম্পানিতে উন্নীত হোক। মেটাভার্স হল আসলে এক ভার্চুয়াল দুনিয়া, এই ভার্চুয়াল ব্রহ্মাণ্ডে মানুষ সব কাজই করতে পারবেন ভার্চুয়ালি। সম্ভবত সেই মেটাভার্সের কথা মাথায় রেখেই নাম বদলাতে চাইছে ফেসবুক।

দিন কয়েক আগেই প্রযুক্তিগত সমস্যায় টানা ৬-৭ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক। এই দুই কারণে সংস্থার শেয়ারও নেমে যায় অনেকটাই। ওই সংস্থার অধীন অন্যান্য পরিষেবা, হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp), মেসেঞ্জার (Messenger), ইন্সটাগ্রামের (Instagram) মতো পরিষেবা একধাক্কায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেরবার হন কোটি কোটি মানুষ।

এসবের মধ্যেই  ফ্রান্সেস হগান নামে সংস্থার এক পুরনো কর্মী নথি দিয়ে সে কথাই প্রমাণ করেন ফেসবুক জুড়ে হিংসার ছড়ানোর রসদ, কিংবা ইন্সটাগ্রামের (Instagram) মোহ যে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষতি করছে। তিনি দাবি করেছেন, ‘ফেসবুক বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে যে, তারা নিরাপত্তার থেকে বেশি জোর দেয় লাভে।’ তিনি মনে করেন, ফেসবুক আমাদের সমাজকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে আর বিশ্ব জুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। কিছুদিন আগেই কিছু নথি ফ্রান্সেস তুলে দেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের হাতে।

আরও পড়ুন : India-Taliban Meet: আজ ফের ভারতের মুখোমুখি হবে তালিবান, থাকবে চিন-পাকিস্তানও