Influencer Death: ফুড ব্লগারের মর্মান্তিক পরিণতি, একটানা ১০ ঘণ্টা ধরে খেয়েই যাচ্ছেন… LIVE ভিডিয়ো করতে করতেই মৃত্যু যুবতীর
Influencer Death during Live: আগে একজন পরিচারিকার কাজ করতেন ওই যুবতী। ব্লগিং শুরু করার পর যখন তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, তখন তিনি আগের কাজ ছেড়ে পুরো সময় এই কাজটিই করতে শুরু করেন। তার পরিবার তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে শুরু করলে একটি আলাদা স্টুডিওর ব্যবস্থা করেন তিনি।
বেজিং: শিক্ষা এবং মেধা অনুযায়ী প্রত্যেকেই নিজের কাজ বেছে নেয়। যে ক্ষেত্রে উৎসাহ আছে সেটাই কাজের ক্ষেত্র হলে মানুষ উৎসাহ পান। বর্তমানে গতানুগতিক কাজের বাইরে ব্লগিং-এ ঝোঁক বেড়েছে অনেকেরই। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থ উপার্জনের একটা বড় উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্লগিং। কেউ ভ্রমণ করে, আবার কেউ খাবার খেয়ে টাকা উপার্জন করছে।
এভাবেই ব্লগিং করতে গিয়ে মৃত্যু হল ২৪ বছরের এক যুবতীর। ফুড ব্লগিং তো অনেকেই করেন, তাই বলে খেতে খেতে মৃত্যু! তাও আবার লাইভ ভিডিয়ো চলাকালীন! প্যান জায়োতিং নামে ওই যুবতীর মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। লক্ষ লক্ষ দর্শক তখন তাঁর ভিডিয়ো দেখছিলেন।
চিনের বাসিন্দা ওই কিশোরী খেতে খেতে লাইভ স্ট্রিমিং করতেন। ক্যামেরার সামনে প্রচুর খাবার খেয়ে টাকা রোজগার করতেন তিনি। চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেই এভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর।
আগে একজন পরিচারিকার কাজ করতেন ওই যুবতী। ব্লগিং শুরু করার পর যখন তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, তখন তিনি আগের কাজ ছেড়ে পুরো সময় এই কাজটিই করতে শুরু করেন। তার পরিবার তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে শুরু করলে একটি আলাদা স্টুডিওর ব্যবস্থা করেন তিনি।
ক্রমে জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার পর আরও বড় চ্যালেঞ্জ নিতে শুরু করেন প্যান। কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে। মৃত্যুর সময় তার ওজন ছিল ৩০০ কেজি। এর আগে পেটের ভিতর রক্তক্ষরণের কারণে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে।
এরপর একে একে বিপজ্জনক সব চ্যালেঞ্জ নিতে শুরু করেন তিনি। এক সেশনে ১০ কেজি পর্যন্ত খাবার খেতেন তিনি, কখনও দিনে একটানা ১০ ঘণ্টা খেতেন। এরকমই একটি ভিডিয়ো চলাকালীন তিনি মারা যান। যদিও এর কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়নি, তবে চিনা ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, তাঁর পেট অপাচ্য খাবারে ভরা ছিল এবং নীচের অংশ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।